ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অবৈধ ইটভাটায় কৃষি ও পরিবেশের বিপর্যয়

অবৈধ ইটভাটায় কৃষি ও পরিবেশের বিপর্যয়

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় সব নিয়ম নীতি উপক্ষো করে পুরো দমে চলছে ইট পোড়ানো। বনাঞ্চল, লোকালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘেঁষে গড়ে উঠা বেশির ভাগ ভাটায় ইট তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃষি জমির টপ সোয়েল এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠখড়ি। ফলে কৃষি উৎপাদন ও পরিবেশের ক্ষেত্রে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পীরগঞ্জে ৫৫টি ইট ভাটার মধ্যে এবারে ৪৪টি ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হয়েছে। সংখ্যায় ৪টি ইউনিয়নেই রয়েছে ২৯টি ভাটা। কুমেদপুর ইউনিয়নে ৭টি ভাটার মধ্য কাঞ্চনপুর গ্রামেই ২০০ গজ দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে ৫টি ভাটা। এছাড়া বন বিভাগের আওতাধীন চৈত্রকোল ইউনিয়নে ৯টি, মদনখালি ইউনিয়নে ৬টি ও টুকুরিয়া ইউনিয়নে ৭টি ভাটা। এ সব ভাটায় বনের কাঠ উজাড় করে প্রতিবছর ইট পোড়ানো হয়। ঝিকঝাক বা হাওয়া ভাটা ৩৯টি, এখনো উপজেলায় ১৬টি স্থায়ী চিমনী ভাটা রয়েছে। কয়েকজনের বিএসটিআই, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কল-কারখানা, ভ্যাট, ট্যাক্স ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমতিপত্র থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লাইসেন্স নেই কারো। বিগত ২০১৯ সাল থেকে ভাটা মালিকদের নতুন করে ছাড়পত্র দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে ভাটা মালিকরা প্রতিবছর পরিবেশ অধিদপ্তরে নির্ধারিত নবায়ন ফি জমা দিয়ে অনুমতির চিঠি ছাড়াই ইট পোড়ানোর ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ইট ভাটায় কৃষি জমির ‘টপ সয়েল’ ব্যবহৃত হয়। এতে ২/৩ বছর কৃষি জমির উৎপাদন ব্যহত হয়। মাটি কাটা জমি গুলোতে অতিরিক্ত খরচ করে চাষাবাদ হলেও কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মন বলেন, ২০২২ সালের উচ্চ আদালতের নির্দেশনামতে ভাটা বন্ধে নোটিশ জারিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত রয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোপূর্বে কিছু ভাটায় জরিমানা করা হয়েছে, মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত