ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ে অংশে শতাধিক মরা গাছ মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে চালক পথচারীরা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক একটি ব্যস্ততম মহাসড়ক এই সড়ক দিয়ে পশ্চিম অঞ্চলের প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। তার মধ্যে পাটুরিয়া মানিকগঞ্জের মানুষের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এই মহাসড়কটি। বর্তমানে মরা গাছের আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ্য মানুষ। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।
সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা অংশে ১০ দানব আককৃতির মরা গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই বালিথায় রয়েছে তিনটি পোশাক কারখানাসহ পাঁচটি কারখানা। যার শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত সেই মরা গাছের নিচ দিয়ে চলাচল করছে এবং কি সেই মারা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে পোশাক শ্রমিকদের আসা যাওয়ার জন্য বাস।
একে এইচ নামে পোশাক কারখানার শ্রমিক রিপন বলেন, আমরা প্রতিনিয়মিত এই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করি শুধু তাই নয়, আমরা লাঞ্চের সময় আমরা এই গাছের নিচ দিয়ে চলাচল করি। সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি, কখন যেন এই মরা গাছের ডাল আমাদের মাথার উপর এসে পরে। একটু বাতাস বা বৃষ্টি আসলে আমারে আরও বেশি ভয় লাগে। আমরা চাই দ্রুত এই গাছগুলো সরকার কাটার ব্যবস্থা করে।
বাসচালক মিজান বলেন, আমি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় গাড়ি চালাই। সব সময় আমাদের ভয়ে থাকতে হয়, কখন যেন এই গাছগুলো আমাদের গাড়ির ওপর এসে পড়ে। বিশেষ করে বালিথা স্টেশনে আসলে বেশি ভয় লাগে এই খানে এক জায়গায় ১০টির বেশি বড় আকৃতির মরা গাছ রয়েছে। একটু ঝড় বৃষ্টি হলে গাছে ডাল ভেঙে রাস্তার ওপর গাড়ির ওপর পড়ে। তাই আমরা চাই সরকারি গাছ সরকারের লোকজন দ্রুত কেটে নিয়ে যাক।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ নয়ারহাট উপবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ সাহা বলেন, সড়কের গাছগুলো কাটা বা লাগানো আমাদের কাজ না এগুলো আমাদের আরেকটা বিভাগের কাজ। আমরা তার পরও এই মরা গাছ কাটার জন্য তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি এরই মধ্যে তারা এসে গাছগুলো দেখে গেছে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কাটা হবে।