আর মাত্র দুইদিন পরেই ইসলাম ধর্মের দ্বিতীয় বৃহত্তর উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে যশোর শহরে বড় বাজারে মুদি দোকানদাররা মসলা বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন জেলার আট উপজেলা থেকে ছোট ব্যবসায়ীরা পাইকারিভাবে মসলা নিচ্ছেন। পাইকারি হারে মাল পাওয়ায় শহরের বাসিন্দারাও এখান থেকে মসলা নিচ্ছেন। সকাল ১০টা পর দোকান খোলেন ব্যবসায়ীরা। সেই থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মসলা বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনা এবার মসলা বাজারে ভিড় একটু বেশি।
সরেজমিন দেখা গেছে, যশোরের বড়বাজারে মুদি ব্যবসায়ীরা মসলা বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোরবানি সামনে রেখে তারা বেশি মালামাল আমদানি করেছেন। কোরবানি উপলক্ষে মসলার বাজার জমে উঠেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে মালামাল বিক্রি হচ্ছে। জিরা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, হলুদ, তেজপাতা, আদাসহ হরেক রকমের মসলা। এছাড়া অন্যান্য সময়ের চেয়ে পেঁয়াজ-রসুনও বেশি বিক্রি হচ্ছে। যশোরের বড় বাজারের সাধন স্টোরের স্বত্বাধিকারী অসীম কুন্ডু বলেন, ‘তিনি কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে বেশি করে মসলা আমদানি করেছেন। ঢাকার বড় বড় দোকান থেকে তিনি মালামাল এনেছেন। মাত্রা ভেদে জিরা ৬০০ থেকে ৬৫০, দারচিনি ৫২০ থেকে ৪২০, এলাচ ৪৩০০ থেকে ৪৯০০, লবঙ্গ ১২০০ থেকে ১৩৫০, হলুদ ২৩০ থেকে ২৫০, তেজপাতা ১২০ থেকে ১৪০ ও আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছেন।
প্রতিদিন সকাল থেকে বেচাকেনা শুরু হচ্ছে মধ্যরাতে শেষ হয়’। ভোলানাথ স্টোরের অরবিন্দু কুমার পাল বলেন, ‘কোরবানি ঈদে মসলার চাহিদা একটু বেশি থাকে। কারণ সবার বাড়িতে গোশত রান্না হয়। এজন্য মসলা বেশি প্রয়োজন হয়। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ছোট দোকানদাররা তাদের কাছ থেকে পাইকারি হারে মসলা ক্রয় করেন। চাহিদা বেশি থাকায় প্রতি কোরবানি ঈদে বেশি করে মসলা আমদানি করেন তারা। এবারও জিরা, গরম মসলা, হলুদ, তেজপাতা ও আদা বেশি করে আমদানি করেছেন।
দিলীপ স্টোরের স্বত্বাধিকারী দিলীপ ঘোষ বলেন, এবার ঈদে এখন থেকেই শহরের মায়েরা মসলা কেনা শুরু করে দিয়েছেন। ঈদের দিন রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে। আশা করছি গতবারের চেয়ে এবার বেশি মালামাল বিক্রি হবে।
পলি খাতুন। তার বাড়ি শহরের ধর্মতলা অঞ্চলে। তিনি পেশাই একজন শিক্ষক। সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের দত্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, তার স্বামী একটি কলেজের সহকারি অধ্যাপক। এবার তারা গরু কোরবানি করবেন। তাই প্রয়োজন মতো মসলা কিনতে বাজারে এসেছেন তিনি। ৮০০ টাকার মসলা কিনেছেন তিনি। খায়রুজ্জামান রানা। তার বাড়ি শহরের খালধর রোড়ে। তিনি পেশায় তিনি মটর পাটর্স ব্যবসায়ী। একাই একটি গরু কোরবানি করবেন। কোরবানির ঈদে তেমন কেনাকাটা থাকে না। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মসলার বাজারের এসেছেন। তার স্ত্রী হরেকরকমের মসলা কিনেছেন। সবমিলে ১৫০০ টাকার মসলা কিনেছেন।