সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফুলজোড় নদীর কালিগঞ্জ ঘাট পারাপারে নৌকার পরিবর্তে বাশের সাঁকো দেয়া হয়েছে। ঘাট এলাকায় পানি কম থাকায় এ সাঁকো দেয়া হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফুলজোড় নদীর ওই ঘাটে সারা বছরই এলাকাবাসী খেয়া নৌকায় পারাপার হচ্ছিল। যুগ যুগ ধরে এ ঘাট পরিচালনায় জড়িত একই এলাকার রতন প্রামাণিক প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে ওই নদী পারাপারে সাঁকো নির্মাণ করেছে। সেখানে পানি কম থাকায় তিনি এই ঘাটে প্রথম খেয়া নৌকার পরিবর্তে বাঁশের সাঁকো দেন এবং তিনি আর ওই খেয়া ঘাটের ডাকও ধরবেন না। এ সাঁকো পারাপারে জনপ্রতি নির্ধারিত হারে টাকাও নিচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, ফুলজোড় নদীর কালিগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় পানি কম থাকায় সাঁকো দেয়া হয়েছে। এ সাঁকো দিয়ে পারাপারে এলাকাবাসীর দুর্ভোগও বাড়ছে। কারণ সম্পর্কে তারা আরো বলছেন, এ নদীর উভয়পাড় এলাকার কমপক্ষে ৬/৭টি গ্রামের শিক্ষার্থীসহ লোকজনের ওই সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয় প্রতিদিন। তবে খেয়া নৌকা পরিচালনাকারী কোনো কিছু না জানিয়ে হঠ্যাৎ বাঁশের সাঁকো দেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদি তিনি এ বিষয়ে জানালে পারাপারে ভালো ব্যবস্থা করা যেতো। সেখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে এবং এ সাঁকোর আশপাশে কচুরি জমাতে পারাপারেও বিঘ্ন ঘটছে। এ খেয়া ঘাট জেলা পরিষদ থেকে প্রতি বছর ইজারা দেয়া হতো এবং সারা বছরই নৌকায় পারাপার করা যেত এবং তিনি আর এ ঘাট ইজারাও নিবেন না। এ খেয়া ঘাটের দুই পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাকা সড়ক পথ রয়েছে। এ খেয়া ঘাট হয়ে কামারখন্দ, বেলকুচি উপজেলার সড়ক পথের যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন নানা কাজে বহু লোকজন এখানকার খেয়া ঘাটের নৌকায় পারাপার হন এবং সেখানে পানি কম থাকায় এখন নদী পারাপারে বাঁশের সাকো দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ছোটখাট যানবাহন পারাপারেও চরম বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে খেয়া ঘাটের ইজারা নেয়া রতন প্রামাণিক বলেন, সরকারি ইজারা ডাকের কালিগঞ্জ খেয়া ঘাটটি প্রতি বছরই ইজারা ডাক হয়। প্রায় পঞ্চাশ বছর হলো ঘাটটি ইজারা নিয়ে চালাচ্ছি। তবে এরমধ্যে কয়েক বছর ইজারা নেয়নি এবং অন্যরা চালাতো। এখন নদিতে পানি কম থাকায় নৌকার পরিবর্তে বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়েছে। নৌকার পরিবর্তে সাঁকো পারাপারে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে। তিনি আর এ খেয়াঘাট ইজারা নিবেন না বলে উল্লেখ করেন।