ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বেলাবতে সড়কে বেহাল দশা, দুর্ভোগ

বেলাবতে সড়কে বেহাল দশা, দুর্ভোগ

কাদাময় বাজারের সড়কে বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাজারের ভেতরের রাস্তাটির একটু পর পর বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই সড়কে চলাচলকারী, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজারে যাওয়ার সড়কের এই অবস্থা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার পর্যন্ত একটি পাকা সড়ক রয়েছে। বৃষ্টির কারণে ও রাস্তার পাশে ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে এই রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি বেলাব উপজেলা এলজিইডি। ফলে রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় বিশেষ করে নারায়ণপুর মোল্লা বাড়ির সামনে রাস্তাটির একটু পর পর বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সে সব গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সেইসঙ্গে সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদাময় হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ মোল্লা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না হওয়ায় ও রাস্তার পাশে ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই বাজারেই ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি কলেজ রয়েছে। ফলে এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার জন্য যাতায়াত করে। তাদের যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়, কাঁদার মধ্যে পড়ে গিয়ে অনেক সময় স্কুল ড্রেসের সাথে কাঁদা লাগে, চলতে সমস্যা হয়। প্রায় সময় এই রাস্তাটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই।’ আবার অনেক সময় কাদায় গর্ত দেখা না যাওয়ায় প্রায়ই মোটরসাইকেল, অটো ভ্যান, অটো রিকশা ও পিকআপ ছোট ট্রাকগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাই এই বাজারের রাস্তাটি মেরামত করা অতি জরুরি। আমি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে কিছু ইট রাবিশ রাস্তায় দিয়েছি।

নারায়ণপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয় এর একাদশ শ্রেণির ছাত্র বলেন, আমরা প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কলেজে আসা যাওয়া করি, রাস্তায় পানির জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়, মাঝেমধ্যে পা ফসকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে, আমি এই পরিস্থিতির পরিবর্তন চাই। মোটরসাইকেল আরোহী সোহেল রানা বলেন, আমি প্রায়ই এই রাস্তা দিয়ে নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজারে যাই। যাওয়া পথে কয়েকটি স্থানে ভাঙন, রাস্তায় পানি জমে থাকে। এই অবস্থা এইদিক দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো খুবই কষ্ট। যদি রাস্তার পাশে ড্রেইনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এই অবস্থা জনগণ মুক্তি পাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, এ জায়গাটিতে ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় এখানে জমাটবাধা পানির কারণে রাস্তা ভেঙে গর্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যদি রাস্তার দু’পাশে ড্রেনের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে এমনটা হতো না। এ বিষয়ে বেলাব উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, নারায়ণপুর বাজারের রাস্তার দু’পাশের দোকানগুলো উঁচু করে ফেলায় সড়কে পানি জমে থাকে, আমরা এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অতিদ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হলে সমস্যার সমাধান হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত