ফেনীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়। এ পদ্ধতিতে দেশের প্রতিটি ভোটার মূল্যায়িত হয়। পিআরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিটি দলের অংশগ্রহণ থাকে।
দৃশ্যমান বিচার, মৌলিক সংস্কার ও পিআর পদ্ধতিকে চূড়ান্ত করেই নির্বাচনের কথা ভাববেন। ইসলামপন্থিরা এক হয়েছে। আশা রাখছি ইসলামের পক্ষের লোকরাই সামনের নির্বাচনে ক্ষমতায় যাবে।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণসমাবেশে তিনি এসব কথা।
গতকাল বুধবার ফেনী শহরের ট্রাংক রোড শহিদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনের ফেনী জেলা সভাপতি মাওলানা গাজী এনামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী ফেনীর আমির মুফতি আবদুল হান্নান ইসলামী আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়াসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা।
চরমোনাই পীর তার বক্তব্যে আর বলেন, একটা শ্রেণি ইসলামী আন্দোলনের বিষয়ে অযৌক্তিকভাবে গালাগাল করছে। এ দল রাজরীতি মাত্র কয়েকটা এমপির জন্য করে না। মানুষ ও মানবতার জন্য রাজনীতি করে। ইসলামী আন্দোলন কখনও কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হয় নি। যারা সমালোচনা করছেন অনুরোধ করব নিজেদের চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখেন। আপনারা দেশকে বার বার চুরি দিক দিয়ে প্রথম করেছেন। আপনারা বিদেশের দালালি করেছেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার জানমালের বিনিময়ে দেশে বিজয় এসেছে। খুনিরা পালিয়েছে। সুযোগ এসেছে দেশ গড়ার। ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর। আমাদেরকে এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দ্যেশে বলতে চাই, সংস্কার হয়নি, বিচার হয়নি। লেভেল প্লেয়েই মাঠ হয়নি। এ অবস্থায় কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করবেন। আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম দেশকে উদ্ধার করার জন্য। আর একটি দল সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিতে চেয়েছে। যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশকে আর তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই না।
