
নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, মাদক সেবনের সরঞ্জাম ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রসহ ২৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরে আটকদের মধ্যে ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি ১৯ জনকে থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ৫ জনের মধ্যে- জিমখানা রেলওয়ে কলোনি এলাকার মো. ফয়সালকে ১২ দিনের কারাদণ্ড, জল্লারপাড় এলাকার রিফাতকে ১২ দিনের কারাদণ্ড, দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার জুবায়ের ভূঁইয়া রানাকে ২০ দিনের কারাদণ্ড, জল্লারপাড় এলাকার মো. মোস্তফা হোসেনকে ১৪ দিনের কারাদণ্ড এবং ডাইলপট্টি এলাকার অভিনন্দীকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
গত বুধবার দিবাগত রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিএম রাহসিন কবিরের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদীসহ সদর মডেল থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ নেন।
পুলিশ জানায়, যৌথ বাহিনীর অভিযানে জিমখানা এলাকার তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি আলম চাঁন ও দুই নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ ২৪ জনকে আটক করা হয়।
এ সময় আলম চাঁন এর বসতঘরে তল্লাশি করে আনুমানিক দেড় কেজি গাঁজা, ২৫০ মিলি বিদেশি মদ, বড় আকারের ৩টি ছোঁড়া, ১টি স্টিলের চাপাতি, ১টি টেঁটা ও ২টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।
আলম চাঁনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় এরআগে ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। আজকের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা করা হবে।
এছাড়া নারী পুলিশের সহায়তায় ২৪ পিস ইয়াবাসহ পারভীন আক্তার এবং ৩৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আফরিনা হাসি নামে দুই নারী মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিএম রাহসিন কবির বলেন, জিমখানা লেক পাড় এলাকায় মাদক বেচাকেনা ও সেবন করা হচ্ছে এমন সংবাদেরভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রসহ ২৪ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে যাচাই বাছাই শেষে ১৯ জনকে আটক করে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় এবং ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন একাধিক মাদক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, উঠতি বয়সের কিশোর ও তরুণরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় জেলায় কিশোর গ্যাং, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।