
প্রতিষ্ঠার পর গত ৬ বছরে ১৩ হাজার বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি। সেপ্টেম্বর মাসকে পঞ্চম বই উপহার মাস ঘোষণা করেছিলো এই প্রতিষ্ঠান। ‘ছড়িয়ে দিতে বই, পথের মানুষ হই’ স্লোগানে গত ২৯ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিলো।
এরপর মাসজুড়ে চলে বই উপহার কর্মসূচি। পথেঘাটে, অফিস-আদালতে ও যানবাহনে উপহার প্রদান করা হয় বই। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের হাতে বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হয় গল্প-কবিতা, প্রবন্ধ-উপন্যাস ও শিশুতোষ বই। টানা ২৯ দিন চলে এ কর্মসূচি। দুর্গাপূজার কারণে নির্ধারিত সময়ের ২ দিন আগেই এ কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার উদয়ন কঁচিকাচার মেলার হল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে বই উপহার মাসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন চর্যাপদ একাডেমির মহাপরিচালক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি। একাডেমির সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আইনজীবী ও সমাজসেবক রোটারিয়ান শরীফ মাহমুদ ফেরদাউস শাহীন। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন উদয়ন কঁচিকাচার মেলার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ দাস।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডমির সহ-সভাপতি শিউলী মজুমদার, পর্যবেক্ষক ও ন্যায়পাল দিলীপ ঘোষ, নির্বাহী পরিচালক আইরিন সুলতানা লিমা, স্বজন সারথি মিজানুর রহমান স্বপন, উপ-পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস সুপ্ত, তথ্য পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া, প্রচার ও প্রকাশনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম, দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন জীবন।
বই উপহার মাসের আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রণি বলেন, মাসব্যাপী চলে বই উপহার কর্মসূচি। এ মাসে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি বই উপহার দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিপাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দেশের চলমান পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমরা টার্গেটের তুলনায় কিছুটা কম বই উপহার দিতে পেরেছি। তবে সকল জটিলতার মধ্যেও কর্মসূচি অব্যাহত ছিলো। একদিনের জন্যেও পিছু হটেনি একাডেমির সদস্যরা। ৬ বছরে প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি।