
পাহাড়, হাওর, চা-বাগানবেষ্টিত এলাকা মৌলভীবাজার জেলায় কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কর্মজীবী মানুষের জীবন। গত দু’দিন ধরে তীব্র শীত পড়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন শনিবার একই তাপমাত্রা বিরাজ করে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কম থাকলেও সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে।
এদিকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও হাওর, পাহাড় ও চা-বাগান এলাকায় বসবাসরত মানুষের খুব বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষজন। বিশেষ করে চা-বাগানগুলোয় শীত বেশি থাকায় কাজ করতে বেগ পোহাতে হয় চা শ্রমিকদের।
ফিনলে কোম্পানির ভাড়াউড়া চা-বাগানের বাসিন্দা বিশাল উরাং ও অরুণ চাষী বলেন, চা-বাগানের শ্রমজীবী নারী-পুরুষরা শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় ও কম্বলের অভাবে খুব কষ্টে দিনযাপন করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চা-বাগানের মানুষের খোঁজখবর প্রশাসনের কেউ রাখে না।
ভাড়াউড়া চা-বাগানের বেলি রানী বলেন, ‘সন্ধ্যাবেলা চা-বাগানে প্রচণ্ড শীত পড়ে। আমাদের অনেক কষ্ট করে থাকতে হয়। সবার ঘরে চাহিদামতো গরম কাপড় নেই। এখন পর্যন্ত চা বাগানে শীতের কাপড় শীতবস্ত্র কেউ দেয়নি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন জানান, বেসরকারি উদ্যোগে চা বাগান এলাকায় শীতবস্ত্র কিছু কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকেও পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।