
চলতি রবি মৌসুমে দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় জেলা কৃষি অধিদপ্তরের দিকনির্দেশনায় ৬০৬ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আর্লি শিম ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সুষ্ঠু পরিবেশে জেলায় শিম চাষ সফল হয়েছে।
সরজমিনে দিনাজপুর জেলার কয়েকটি উপজেলায় দেখা গেছে, শিমের সবজি বাগান মনোরম দৃশ্যে পরিপূর্ণ। সাদা এবং বেগুনি রঙের ফুলে প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সেজেছে। রবি মৌসুমে গ্রামের সবজি খেতে এমন দৃশ্য জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে ছড়িয়ে গেছে।
বিরল উপজেলার ভাড়াডাঙ্গী গ্রামের কৃষক সোহরাব আলীর শিম বাগান বিশেষভাবে নজরকাড়া। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে শিম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে বাঁশের মাচা দিয়ে শিম চাষ শুরু হয়েছে। দেশি জাতের শিমের মাচায় এরইমধ্যে ফলন আসা শুরু করেছে।
মৌসুমের শুরুতে শিম বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে, বর্তমানে পাইকারের কাছে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
শিম শুধু দিনাজপুরেই সীমাবদ্ধ নয়; পাইকাররা ট্রাকযোগে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলার বাজারে পাঠাচ্ছেন। এখাকার শিমের স্বাদ ও পুষ্টিমূল্য ক্রেতাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধায় প্রতিদিনের উৎপাদিত শিম দেশের যেকোনো জেলায় সরবরাহ সম্ভব।
দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় বিভিন্ন জাতের শিম ৬০৬ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে এবং আগাম জাতের শিম ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সুষ্ঠু পরিবেশে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সবজি চাষ সফল হয়েছে। শিম একটি উল্লেখযোগ্য উৎপাদনশীল সবজি। তিনি বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরে জেলার সব উপজেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে আগাম শীতকালীন সবজি শিম চাষ হচ্ছে। এবারে বাম্পার ফলন ও বাম্পার দাম পেয়েছে শিম চাষিরা।
শিম চাষিরা জানান, খরচ কম, লাভ বেশি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফজাল হোসেনের নিয়মিত তদারকির ফলে দিনাজপুর জেলায় সবজি চাষসহ অন্যান্য ফসল ভালো হচ্ছে।