ঢাকা শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত

* উখিয়া উপজেলার দক্ষিণ মরিচ্যা এলাকায় এক চায়ের দোকানে বসে থাকা আলী হোসেন বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরাটা সময়ের দাবি ছিল। আমরা চাই ওনার আগামী পদক্ষেপগুলোও এমন সময়োপযোগী হোক।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত

দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে দেশজুড়ে আনন্দের পাশাপাশি এই স্রোত ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে গ্রামে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামের চায়ের দোকানগুলোর টিভির পর্দায় প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে এক পলক দেখতে ভিড় করতে দেখা গেছে।

তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম-গঞ্জের চায়ের দোকানে ভিড় বাড়তে দেখা যায়। আবার কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে গ্রাম গঞ্জে বড় পর্দায় তারেক রহমানকে দেখার জন্য আয়োজন করতে দেখা গেছে। কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি তথা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, কক্সবাজার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এর বড় ডেবা এলাকায় হাজারও মানুষ বড় পর্দায় তারেক রহমানকে দেখছেন এবং তার কথা শুনতেছেন। খুনিয়ারাপালং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এই বড় পর্দার আয়োজন করেন। এক প্রতিক্রিয়ায় খুনিয়ারাপালং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাধ্য থাকার পরও এলাকার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে ঢাকায় যায়নি। কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাহ আসনের সাবেক সাংসদ, আগামী অনুষ্টিতব্য নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান কাজলের পক্ষ থেকে বড় পর্দার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আগামী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী (ধানের শীর্ষে) ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উখিয়া উপজেলার দক্ষিণ মরিচ্যা এলাকায় এক চায়ের দোকানে বসে থাকা আলী হোসেন বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরাটা সময়ের দাবি ছিল। আমরা চাই ওনার আগামী পদক্ষেপগুলোও এমন সময়োপযোগী হোক। তিনি টিভির পর্দায় তাকে এক পলক দেখে তার স্বাদ মিটেছে বলে মন্তব্য করেন।

রামু উপজেলার মুদি দোকানদার আবদু শুক্কুর বলেন, ‘তারেক রহমানের কাছে মানুষের এখন অনেক বেশি চায়। তাই সে দেশে এসেছেন শুনে সবাই খুশি। আমিও খুশি, তারেক রহমানের ভালো কিছু করতে হবে। কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানান, ঢাকায় তারেক রহমানের নির্ধারিত স্থলে কক্সবাজারের কমপক্ষে ২০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, গত দুইদিন ধরে বাসে-ট্রেনে নিজ উদ্যোগে জেলার প্রতিটি ইউনিট থেকে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী ঢাকায় যান, সংখ্যায় তা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে এবং সবাই নিজ উদ্যোগে যাত্রা করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত