
নাটোরের লালপুরে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে তাম্মি আক্তার (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামী রবিন হোসেনের (২৫) বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকার উপজেলার শোভ দিদারপাড়া এলাকায় আব্দুলপুর-নাটোর রেল সেকশনের ২২৫/২ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় অভিযুক্ত রবিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
নিহত তাম্মি আক্তার উপজেলার নাবীরপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে। তিনি আব্দুলপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। অন্যদিকে আটক রবিন হোসেন উপজেলার চন্ডিগাছা গ্রামের কসিম উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে রবিন ও তাম্মির বিয়ে হয়। তবে বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের ছয় মাস পরেই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলমান আছে। এরপরও রবিন বিভিন্ন সময়ে তাম্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিল।
গতকাল সকালে রবিন মোবাইল ফোনে তাম্মিকে দেখা করার কথা বলে ডেকে আনেন। তাম্মি কলেজ যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রবিনের সঙ্গে দেখা করতে যান। বিকালে তারা শোভ ও রাগদা এলাকার মাঝামাঝি পৌঁছালে রবিন ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাম্মিকে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ড শেষে পালানোর সময় শোভ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে শার্ট ও হাতে রক্ত দেখে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে আব্দুলপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন।
আব্দুলপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মজিবর রহমান জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্ত রবিনকে আটক করা হয়েছে। রেলওয়ে সীমানায় ঘটনাটি ঘটায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক রবিনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।