যেসব সম্মানিত মুসলিম ভাই-বোন হজে যেতে পারেননি অথবা যারা এরইমধ্যে পবিত্র হজ পালন করেছেন তারাও নিজ থেকে কিছু আমল সব সময় পালন করবেন। এই সহজ আমলগুলো পালন করলেই পবিত্র হজের সওয়াব পেতে পারেন ইনশাআল্লাহ। সবাই হজে যাওয়ার জন্য আর্থিক সামর্থ্য অথবা মানসিক শক্তি বা সৌভাগ্য রাখে না। তাই ইসলামে আল্লাহ তার সব বান্দার জন্য এমন কিছু আমল রেখেছেন যার মাধ্যমে একজন মুসলিম হজের সমান সওয়াব অর্জন করতে পারেন... ইনশাআল্লাহ।
আমলসমূহ হলো: ফজর ও ইশরাক নামাজ আদায় : ফজরের নামাজ (পুরুষ হলে জামাতে-মসজিদে) আদায় করে, বসে বসে সূর্য ওঠা পর্যন্ত (প্রায় ১৫-২০ মিনিট) একাগ্রচিত্তে আল্লাহর জিকির করুন। এরপর ২ রাকাত ইশরাক নামাজ পড়ুন। হাদিসে এসেছে - ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, বসে বসে আল্লাহর জিকির করে, তারপর সূর্য ওঠার পর দুই রাকাত নামাজ পড়ে, সে পূর্ণ হজ ও ওমরাহ্ সওয়াব পায়।’ (তিরমিযী: ৫৮৬)। তাই যে কোনো সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে হজে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও হতাশ হওয়া যাবে না।
মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া : হযরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায় করল সে যেন হজ করে এলো। আর যে ব্যক্তি নফল নামাজ আদায় করতে মসজিদে গমন করল সে যেন ওমরাহ্ করে এলো। (তাবারানি)।
মসজিদে গিয়ে দ্বীন শেখা বা শেখানো : হযরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদে গেল কোনো ভালো কথা শেখা বা শেখানোর উদ্দেশ্যে; সে পরিপূর্ণ রূপে হজ আদায়কারী একজন ব্যক্তির ন্যায় সওয়াব পাবে। (তাবারানি)
রমজান মাসে ওমরাহ্ পালন করা : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘রমজানে ওমরাহ্ পালন করলে আমার সঙ্গে হজ আদায়ের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।’ (বুখারি, মুসলিম)
মসজিদে কোবায় নামাজ পড়া : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজ ঘরে পবিত্রতা অর্জন করল, এরপর মসজিদে কোবায় এসে কোনো নামাজ আদায় করল, সে ওমরাহ্ পালনের সওয়াব অর্জন করল।’ (ইবনে মাজাহ)
উল্লেখিত আমলগুলো বেশি বেশি আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। আমলগুলোর মাধ্যমে প্রিয় নবিজির ঘোষণা অনুযায়ী তারা পাবেন হজ ও ওমরাহ্ করার সওয়াব। আর্থিক সামর্থ?্য ও শারীরিক সক্ষমতার ইবাদত হজ। সম্পদ আছে কিন্তু শারীরিক সক্ষমতা নেই, সে ব?্যক্তি হজে যেতে পারেন না। অনে?্যর মাধ?্যমে তার ফরজ হজ আদায় করাতে হয়।
মহান রব মুসলিম উম্মাহর সবাইকে জীবনে অন্তত একবার পবিত্র হজ ও ওমরাহ্ পালন করার তাওফিক দান করুন এবং কবুল করুন। পাশাপাশি আমাদের সবাইকে উল্লেখিত আমলগুলো সব সময় পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।