প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ মেধাবী শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি জমায় উচ্চশিক্ষা ও ভালো জীবনযাপনের আশায়। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের শতকরা ৮২ ভাগই এই দেশে বসবাস করতে অনিচ্ছুক। প্রতি বছর দেশের নামিদামি সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেই ইউরোপ আমেরিকায় চলে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী। কেউ কেউ ২ থেকে ৩ বছর চাকরি করে তারপর যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বা জার্মানিতে।
এই মেধা পাচারের দায়ভার কি শুধুই বিদেশগামী ছাত্রছাত্রীদের? বাংলাদেশ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণার ক্ষেত্র ও কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারেনি। এদেশের অনেক তরুণ মেধাবী প্রকৌশলী, ডাক্তার, কৃষিবিদ, গবেষক তাদের গবেষণার জন্য দরকারি ক্ষেত্র, প্রয়োজনীয় অর্থায়ন ও দিকনির্দেশনাসহ অনেক কিছুই পাচ্ছে না।
দেশের সরকার মেধাবীদের জন্য এসব ব্যবস্থা করে দিতে পারলে দেশের গবেষণা, কৃষি, চিকিৎসাসহ অনেক ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন হতো। ক্রমশ মেধা পাচারের ফলে একদিন মেধাশূন্য হওয়ার পথ দেখতে হবে বাংলাদেশকে। তাই মেধা পাচার বন্ধে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি গবেষণার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
লেখক : শিক্ষার্থী, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ময়মনসিংহ