ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মাদককাণ্ড প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সাফা কবির

মাদককাণ্ড প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সাফা কবির

মাদককাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র অরিন্দম রায় দীপ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী- সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধির নাম। সেই সময় মাদক সম্পৃক্ততা ঘিরে বিশেষ অনুসন্ধান শুরু করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (নারকোটিক্স)। মাদককাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে সরব হয়েছিলেন তানজিন তিশা এবং টয়া। ওই ঘটনার প্রায় এক বছর পর মুখ খুললেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী সাফা কবির।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে সে সময়ের দুর্বিষহ স্মৃতিচারণা করে অভিনেত্রী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার খবরটি প্রকাশ করা হয়। গত রোববার একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করার কথা ছিল। কিন্তু এমন খবরের কারণে তারা সেটা বাতিল করে দেয়। আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে এটা শুধু একটা নিউজ। এরসঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। কিন্তু তাদের কাছে এটা কীভাবে প্রমাণ করব?’

কথার সূত্র ধরে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমার কাছে প্রমাণ করার কিছু নাই, বোঝানো ছাড়া। আমার সিনিয়র শিল্পীরা আমার সঙ্গে কাজ বাতিল করে দিচ্ছিল। বিতর্ক এড়াতে আমার সঙ্গে কেউ কাজ করতে চাইছিল না। আমিও বুঝতে পারছিলাম সোস্যাল মিডিয়ায় এটা নিয়ে ঝড় চলছে।’ সেই কঠিন সময় পাশে পেয়েছিলেন শোবিজের কয়েকজন বন্ধুকে। সাফার কথায়, ‘সে সময় আমার শোবিজের বন্ধুরা পাশে দাঁড়িয়েছিল। তৌসিফ মাহবুব তখন বলেছিল, আমি সাফার সঙ্গে কাজ করব। এছাড়া জোভান অনেক সহযোগিতা করেছে, সিয়ামও সে সময় মানসিকভাবে পাশে ছিল। আমার এ বন্ধুরা অনেক সুন্দর। এখানে কাজ করে এত ভালো বন্ধু আমি পেয়েছি। অনেকেই বলেন মিডিয়ার মানুষরা বন্ধু হয় না, আমি এরসঙ্গে কানেক্ট করতে পারি না।’ এরআগে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মাদক ব্যবসার বিষয়ে মৌখিক স্বীকারোক্তির একপর্যায়ে দীপের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং পরীক্ষা করা হয়। এতে জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনেত্রীর মাদক সম্পৃক্ততার তথ্য মেলে। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া মাদকের অর্ডারসংক্রান্ত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রেকর্ডও পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারকোটিক্সের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, দীপকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে আমরা কয়েকজন প্রথম সারির অভিনেত্রী ও মডেলের মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছি। এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, দীপের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধি নায়েকের নামে সেভ করা কয়েকটি নম্বর থেকে নিয়মিত মাদকের অর্ডার দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে নম্বরগুলো যাচাইয়ের জন্য ফোন নম্বরের রেজিস্ট্রেশন রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট নম্বরগুলো সাফা কবির এবং টয়ার নামেই রেজিস্ট্রেশনকৃত। তবে তানজিন তিশার নম্বরটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে তার মা উম্মে সালমার নামে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত