ঢাকা শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া ‘ডাক্তার’ ব্যবহার নয়

হাইকোর্টের রায়
এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া ‘ডাক্তার’ ব্যবহার নয়

এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাঁচ দফার সবগুলো মেনে না নেয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। ফলে অনিশ্চয়াতায় পড়েছে দেশের চিকিৎসা খাত। কোন পথে যাবে এ আন্দোলন এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

জানা যায়, এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের (ডিপ্লোমাধারী হিসেবে নিবন্ধিত) ক্ষেত্রে যথাযথ প্রিফিক্স (নামের আগে ব্যবহার করা সম্মানসূচক শব্দ) নির্ধারণে ছয় মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রায় দেন। পৃথক রিটের ওপর একসঙ্গে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য দিন রাখেন।

রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএফএম সাইফুল করিম বলেন, এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। এ পর্যন্ত যারা ব্যবহার করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে মামলা হবে না। কেননা, রিটের পরিপ্রক্ষিতে ডিএমএফধারীদের বিরুদ্ধে মামলা বা কার্যধারা গ্রহণ না করার নির্দেশনা ছিল। এত দিন মামলা (রিট) চলছিল। তবে কাল থেকে তারা নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না। ব্যবহার করলে আইন অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে। এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন হয়। ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের (ডিপ্লোমাধারী হিসেবে নিবন্ধিত) ক্ষেত্রে আইনটির বৈষম্যমূলক প্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন আহ্বায়ক শামসুল হুদাসহ অন্যরা ২০১৩ সালে একটি রিট করেন। ওই আইনের ২৯ ধারার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিশনের সভাপতি ও সেক্রেটারি গত বছর অপর রিটটি করেন।

প্রথম রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। দ্বিতীয় রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে আইনের ২৯ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়। প্রথম রুল (ডিসচার্জ) খারিজ ঘোষণা এবং দ্বিতীয় রিটটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন আদালত।

আদালতে দ্বিতীয় রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন শুনানি করেন। প্রথম রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. সাইদুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএফএম সাইফুল করিম শুনানি করেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম শুনানি করেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২৯ (১) ধারার ভাষ্য, এই আইনের অধীন নিবন্ধন করা কোনো মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোনো নাম, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করবেন না, যার ফলে তার কোনো অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে বলে কেউ মনে করতে পারে, যদি না তা কোনো স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসাশিক্ষা যোগ্যতা বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসাশিক্ষা যোগ্যতা হয়ে থাকে। ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ব্যতীত অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না।’ ২৯(২) ধারার ভাষ্য, ‘কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং সেজন্য তিনি ৩ (তিন) বছর কারাদণ্ড বা ১ (এক) লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং ওই অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রতিবার এর পুনরাবৃত্তির জন্য অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বর্ণিত দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে দণ্ডনীয় হবেন।

এদিকে পাঁচ দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে গেছেন ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। এর ফলে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ কর্মসূচি চলছে। ঢাকা মেডিকেলের পাশাপাশি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ আছে। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিপদে পড়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার ‘সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে দিনভর কর্মসূচি পালনের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়। পাঁচ দাবিতে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাদিম হোসাইন।

ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবং বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় চরম বিপদে পড়েছেন রোগীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন রোকসানা বেগম। তিনি চর্ম রোগে অক্রান্ত বলে জানালেন।

মুন্সীগঞ্জ থেকে ১৬ মাস বয়সি শিশুকে নিয়ে এসেছেন মা সায়মা বেগম। তিনি বলছিলেন, টিকিট কাটার পরও বাচ্চাকে দেখাতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগ সূত্র বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জানায়, প্রতিদিন এ সময় অন্তত ৭০০ টিকিটে বিক্রি হয়ে যায়। আজ এখন পর্যন্ত অনলাইন ও সরাসরি মিলে ১৯০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক শরিফুল হাসান রাকিব বলেন, সকাল ৯টা থেকে তাদের কর্মবিরতি চলছে। সোহরাওয়ার্দী ও ঢাকা মেডিকেলের পাশাপাশি মিডফোর্ট হাসপাতালের বহির্বিভাগও বন্ধ আছে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না- এমন দাবি তুলে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

পাঁচ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে বহির্বিভাগে রোগী দেখা বন্ধ রেখেছেন শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত মানুষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেয়। সকালেও একইভাবে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় আউট ডোরের টিকিট বিতরণ। দুই থেকে তিনশ’ টিকিট বিতরণের পর তা বন্ধ করে দেয় হাসপাতালের কর্মীরা। পরে জানা যায়, ধর্মঘটে গেছে চিকিৎসকরা। বেলা ১০টা পর্যন্ত রোগী দেখার পর কক্ষ ছেড়ে চলে যান চিকিৎসকরা। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েন দুর্ভোগে।

কর্মবিরতিতে অংশ নেয়া চিকিৎসক মর্তুজা আলম বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি দেশব?্যাপী পালিত হচ্ছে। আমাদের এখানে দেরিতে খবর পৌঁছানোয় সকালে আউট ডোরের রোগীদের টিকিট বিতরণ শুরু হয়ে যায়। যতগুলো টিকিট বিতরণ হয়েছে তাদের চিকিৎসা দেয়ার পরই আমরা কাজ বন্ধ করেছি। কেন্দ্র থেকে আসা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব?্যবস্থা নেয়া হবে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগী তাসলিমা বেগম বলেন, ওনারা ধর্মঘটে যাবেন সেটা আগে বললেই পারতেন। হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেয়ায় আমরা বিপদে পড়েছি। সকাল থেকে এসে বসেছিলাম ডাক্তার দেখানোর আশায়। এখন না দেখিয়েই ফেরত যেতে হচ্ছে। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, ধর্মঘটরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করি খুব শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরের কক্ষে তালা দিয়ে চিকিৎসকরা ধর্মঘট পালন করায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। আউটডোরে টিকিট কেটেও চিকিৎসাসেবা না নিতে পেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন রোগী ও স্বজনরা।

গতকাল বুধবার সকাল থেকেই যথারীতি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছিল। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আউটডোরে এসে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়ে কর্মরত চিকিৎসকদের ধর্মঘটে যেতে বাধ্য করেন। পরে আউটডোরের চিকিৎসকরা কক্ষে তালা দিয়ে ধর্মঘট পালন করেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রোগীরা টিকিট কেটেও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ থেকে আসা রোগীর স্বজন শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে আসমা। পেটের ব্যথার কারণে আউটডোরে শিশু বিভাগে টিকিট কেটেছি ডাক্তার দেখানোর জন্য। কিন্তু বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ডাক্তার দেখাতে পারিনি। কর্মরত চিকিৎসকরা রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বাইরে চলে গেছেন। মেয়ে এখন ব্যথায় কাতরাচ্ছে। তাকে নিয়ে কোথায় যাব ভেবে পাচ্ছি না।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে আসা রোগী স্বপন মিয়া বলেন, আমার পেটের ব্যথা নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটডোরে এসেছিলাম ডাক্তার দেখানোর জন্য। ১০ টাকা দিয়ে টিকিটও কিনেছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও ডাক্তার দেখাতে পারেনি। এখন বেশি টাকা খরচ করে প্রাইভেট হাসপাতালে বা ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হবে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মাইনুদ্দিন খান জানান, সকাল থেকেই ডাক্তাররা যথারীতি চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল। বেলা ১১টার পর হাসপাতালের আউটডোরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গিয়ে ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে যেতে বলেন। এরপর থেকে অনেক ডাক্তার রোগী দেখা বন্ধ রেখেছিল। তবে হাসপাতালে অন্যান্য সেবা স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।

হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে এক দফা দাবি পূরণ হলেও বাকি চার দফা দাবি আদায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের এই পদযাত্রা দোয়েল চত্বরে যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। তবে সেখান থেকে বাধা উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগুতে থাকেন চিকিৎসকরা। পরে হাইকোর্ট মোড় হয়ে শিক্ষাভবনের সামনে গেলে সেখানে আগে থেকেই দেয়া পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে যায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পদযাত্রা।

আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করি। কিন্তু পুলিশ আমাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। আজ যদি চিকিৎসকদের সঙ্গে খারাপ কিছু হয়, এর দায়ভার ডা. সাইদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে নিতে হবে। বাকি চার দফা দাবি পূরণ না হলে আমরা ঘরে যাবো না। ডা. হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমাদের পাঁচ দফার এক দফা পূরণ হয়েছে। পাঁচ দফা আদায় করতেই হবে।

গত বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু করেন চিকিৎসকরা। দোয়েল চত্বরে এলে পুলিশ তাদের অনুরোধ করে, সবাই না গিয়ে প্রতিনিধি পাঠাতে। কিন্তু চিকিৎসক এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দোয়েল চত্বর পার হয়ে যান। পরে শিক্ষাভবনের সামনে চিকিৎসকদের পদযাত্রা আটকে দেয় পুলিশ। এর আগে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ কর্মসূচিতে চিকিৎসক এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত