দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সোমবার উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিশোধমূলক অভিযানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছেন। আরব ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এদিন গাজাসিটিতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা একটি জটিল অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের মুখে শুজাইয়া এলাকায় একটি বাড়ির ভেতর আটকা পড়েন চার ইসরায়েলি সেনা। এ সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। অন্য ঘটনায় দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আকস্মিক অভিযান চালালে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং আহত হন। হিব্রু ভাষার সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টারগুলোতে করে সেনাদের লাশ এবং আহতদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রতিরোধ সংগঠন ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডস একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের একজন স্নাইপার গাজাসিটির শুজাইয়া এলাকায় অবস্থান নেয়া এক ইসরায়েলি সেনাকে নির্মূল করেছেন। এমন সময় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা পূর্ণমাত্রার প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করলেন, যখন গাজায় স্থল ও বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল এবং গাজার নতুন এলাকা দখলের নির্দেশ দিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার।
গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতেই : ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
ইসরায়েলের নতুন সেনাপ্রধান ইয়েল জামির সতর্ক করে বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নিয়ে সরকারের লক্ষ্য পূরণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জনবল এবং সম্পদের অভাব রয়েছে। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার দেড় বছর পরও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতেই রয়ে গেছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে জামির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেন, ‘পরিপূরক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া সমানতালে না চললে শুধুমাত্র সামরিক কৌশলে গাজা নিয়ে ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণ হবে না।’ তথাকথিত বাফার জোন সম্প্রসারণের জন্য ইসরায়েল সরকার এরইমধ্যে গাজার নতুন নতুন এলাকা দখলের নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধান শঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন। ইসরায়েলি বিশ্লেষক এবং সামরিক কর্মকর্তারাও সতর্ক করে বলেছেন, গাজার নতুন নতুন এলাকা দখলের পরিকল্পনা সহসা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়; সেনাবাহিনীর শক্তিমত্তা বিবেচনায় এতে অনেক দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। কারণ, শত শত রিজার্ভ সেনা এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তারা গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। দৃশ্যত, সরকারি নির্দেশনা পালনে সেনাসদস্যদের ইচ্ছা ও মনোবলের অভাব রয়েছে। তাছাড়া, আল্ট্রা-অর্থোডক্স ইহুদিদের সরে যাওয়া এবং নিয়মিত সেনাদের ক্লান্তির কারণে সক্রিয় সেনা-ঘাটতিতে ভুগছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রিজার্ভ বাহিনীর ৪০ শতাংশেরও বেশি সেনা এরইমধ্যে যুদ্ধ থেকে সটকে পড়েছেন। বৃহত্তর হামলার মাধ্যমে হামাসকে মোকাবিলায় বাকি ক্লান্ত সেনারা কতটা সাফল্য পাবেন, তা নিয়ে ইসরায়েলি বিশ্লেষকদের মধ্যে প্রবল সন্দেহ রয়েছে।
যুদ্ধ বন্ধের জোরালো দাবি ইসরায়েলি সেনা ও চিকিৎসকদের
গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সেনাসদস্য ও চিকিৎসকরা। তাদের বক্তব্য, যুদ্ধ বন্ধ করে হলেও বন্দিদের ফিরিয়ে আনা হোক। এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল কয়েকদিন আগে; ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর এক হাজার সাবেক সদস্যের একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে। এবার তাদের সেই দাবিতে সমর্থন জানালেন ২৫০ জনের বেশি সাবেক মোসাদ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মী। তাদের মধ্যে আছেন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান ড্যানি ইয়াতোম, এফ্রায়িম হালেভি ও তামির পারদো। তাদের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকায় বন্দি ও সেনাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এই কষ্ট থামাতে সরকারকে সাহসী ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ সাবেক মোসাদ সদস্যদের মতে, বন্দিদের মুক্তি পাওয়া জাতীয় নিরাপত্তা ও নৈতিকতার প্রশ্ন।
তারা বলেন, ‘অতিবাহিত হওয়া প্রতিটি দিন বন্দিদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিলম্ব হওয়া প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের জন্য লজ্জাজনক।’ চিঠিতে স্বাক্ষর গ্রহণ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইসরায়েলের সবেক প্রধান বন্দিবিনিময় মধ্যস্থতাকারী ডেভিড মেইদান। তিনি ২০১১ সালে গিলাদ শালিতকে মুক্ত করার চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এদিকে, গাজা যুদ্ধ বন্ধ করে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার আহ্বানে তাদের সঙ্গে শামিল হয়েছেন ইসরায়েলের ২০০ সামরিক চিকিৎসক ও ১০০০ শিক্ষাবিদ। ইসরায়েলি চ্যানেল থার্টিন জানিয়েছে, এক আবেদনে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা। চিকিৎসকরা বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে রিজার্ভ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করি। আমরা দাবি করছি, গাজা যুদ্ধ অবিলম্বে থামাতে হবে এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে হবে।’ তাদের মতে, যুদ্ধ এখন আর নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং রাজনৈতিক স্বার্থে চালানো হচ্ছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, ‘৫৫০ দিনের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ ইসরায়েলের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়েছে। আমরা বেদনার সঙ্গে বলছি, এই যুদ্ধ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে, এর সঙ্গে নিরাপত্তার কোনো সম্পর্ক নেই।’ তারা বলেন, ‘গাজায় হামলা চলাকালীন প্রায় ৪০ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। আমরা চিকিৎসক হিসেবে জীবনের পবিত্রতায় বিশ্বাস করি। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং বন্দিদের পরিত্যাগ করা আমাদের নৈতিকতার পরিপন্থি।’ সম্প্রতি যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি জোরালো হয়েছে।
গত কয়েক দিনে এই দাবিতে অন্তত ছয়টি আবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যারা যুদ্ধবিরোধী আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিমানবাহিনীর এক হাজার রিজার্ভ সদস্য, প্রায় এক হাজার শিক্ষাবিদ, সাঁজোয়া বাহিনী, নৌবাহিনী, এইট-টু-জিরো-জিরো ইউনিট, প্যারাট্রুপার্স ১৩তম ব্যাটালিয়ন, শালদাগ, সায়েরেট মাতকাল এবং মোরান ইউনিটের সদস্যরা। এর আগে আরও এক দল সামরিক চিকিৎসক যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে পৃথক আবেদনে স্বাক্ষর করেন।
নেতানিয়াহু ইসরায়েলের শত্রু : সাবেক সেনাপ্রধান
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘ইসরায়েলের শত্রু’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধান ড্যান হালুৎজ। এমনকি নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। হালুৎজ ইসরায়েলি চ্যানেল টোয়েলভকে বলেন, ‘একজন শত্রু, যিনি ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি, তার নাম বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শত্রুকে দমন করা উচিত অথবা বন্দি করা উচিত, তবে হত্যা করা উচিত নয়।’ নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি হালুৎজের এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের গুরুতর উস্কানি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে চরমপন্থিদের উৎসাহিত করবে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না।’ হালুৎজের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন ইসরায়েলি সেনা ও সাবেক সেনাদের একটি বড় অংশ গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে জোরালো আহ্বান জানাচ্ছে। সাবেক সেনাপ্রধান হালুৎজের মন্তব্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায়ের মিল রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও গণহত্যা মামলা চলছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে।
যুদ্ধ বন্ধ হলে সব ইসরায়েলিকে মুক্তি : হামাস
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে এবং ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়া হলে হামাস সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন হামাসের এক সিনিয়র নেতা। ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত অবরুদ্ধ অঞ্চলে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা মিসর এবং কাতারের সঙ্গে বর্তমানে কায়রোতে আলোচনায় রয়েছে হামাস। এই প্রেক্ষাপটে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা তাহের আল-নৌনু সোমবার এএফপিকে বলেন, বন্দি বিনিময় চুক্তি, যুদ্ধের অবসান, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতির বিনিময়ে আমরা সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। হামাসের ওই নেতা বলেন, ‘বিষয়টি বন্দিদের সংখ্যা নয়, বরং সমস্যাটি হলো দখলদাররা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই হামাস ইসরায়েলকে চুক্তি বহাল রাখতে বাধ্য করার জন্য নিশ্চয়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।’
মিসরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার শর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে মিসর। তবে এই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস মিসরের কাছ থেকে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেয়েছে। মিসরীয় পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী অস্ত্র সমর্পণ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তি সম্ভব নয়। ওই কর্মকর্তা বলেন, ?‘মিসরের প্রস্তাবে আমাদের প্রতিনিধি দল বিস্মিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মিসর আমাদের জানিয়েছে যে, প্রতিরোধের নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা না করে যুদ্ধ বন্ধে কোনো চুক্তি হবে না। কিন্তু, হামাস তার অবস্থানে অনড়, আমাদের বক্তব্য- যে কোনো চুক্তি হওয়া উচিত গাজাযুদ্ধ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘হামাসের অস্ত্র সমর্পণের প্রশ্নই আসে না; এটি আলোচনার বিষয় হতে পারে না। কারণ, ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনে সঙ্গে সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রাম ওতপ্রোতভাবে জাড়িত; এছাড়া দখলদারদের হাত থেকে আমাদের ভূখণ্ড রক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’
গাজায় নিহত আরও ৩৯
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫০ হাজার ৯৮৩ জনে পৌঁছেছে। তবে সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া হাজার হাজার মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আর নেই। সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত আরও ১১৮ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল।