ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে রাস্তায় নামল পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট

বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে রাস্তায় নামল পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট

ভারতের বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষী ‘পরিযায়ী’ শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগের বিরুদ্ধে কলকাতায় পথে মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বামফ্রন্টের বিভিন্ন সংগঠন। গত বুধবার রাস্তায় নামেন একাধিক বামপন্থি দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাকে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলে বামফ্রন্ট। সম্প্রতি আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসামে ‘অসমীয়াই’ স্থায়ী। এটাই সরকারি ভাষা, এটাই রাজ্য ভাষা। কিন্তু কেউ যদি বাংলাকে নিজেদের মাতৃভাষা হিসাবে দেখায়, তাহলে শুধু এটাই বোঝা যাবে যে রাজ্যে কতজন বিদেশি রয়েছে। হেমন্ত শর্মার এই মন্তব্য নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ভাষা আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্ক্সবাদী) সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী- দেশের নাগরিকরা যে কোনো রাজ্যে যেতে পারেন। অন্য রাজ্যে আমাদের রাজ্যের মানুষ আক্রান্ত হলে বিজেপিকে এখানে শান্তিতে থাকতে দেবো না।

এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, যে রাজ্যে আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানকার মুখ্যসচিবকে কেন চিঠি দিচ্ছে না বাংলার সরকার? মমতা রাজনীতি করছেন। এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বাঙালি হেনস্তার বিষয়টিকে সামনে রেখে বিজেপিকে বাংলা ও বাঙালি বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ছাড়া সব বিরোধী দলের নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টির প্রতিবাদ করেছেন। বাইরে থাকা বাংলাভাষীদের ওপরে অত্যাচারের ঘটনাও অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্য বিজেপি অবশ্য অনুপ্রবেশের তত্ত্বতেই জোর দিয়েছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি শ্রমিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা। তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলবে।

উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাঙ্গালিদের হেনস্তার অভিযোগে সুর চড়াচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। তবে বাংলাদেশি সন্দেহে যে ৫২ জনের নামের তালিকা দেশটির হরিয়ানা রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে সরকারের কাছে এসেছে, প্রশাসনিকভাবে তা যাচাইয়ের কাজও চলছে। তাদের মধ্যে শুধু উত্তরবঙ্গেরই ৪৫ জনের নাম আছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশিরভাগ জেলায় তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নাম, ছবি, আধার ও ভোটার কার্ডের নম্বর দেওয়া হচ্ছে পুলিশকে। পুলিশ তা যাচাই করছে। সংশ্লিষ্ট নামের সাপেক্ষে কী নথি রয়েছে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত