ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সংসদ ভেঙে দিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী

সংসদ ভেঙে দিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী

জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে সংসদ ভেঙে দিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী

কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা নতুন সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল দেশটির সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। এর ফলে, আগামী ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক রাজকীয় ডিক্রিতে প্রধানমন্ত্রী আনুতিন জানিয়েছেন, তিন মাস আগে তার সংখ্যালঘু সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘর্ষসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আসছে। তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত সমাধান হলো সংসদ ভেঙে দেওয়া...যা হবে জনগণের কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার একটি উপায়।’

ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক হওয়া আনুতিন ২০২৩ সালের আগস্টের পর থেকে থাইল্যান্ডের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন, তখনই জানুয়ারির শেষ নাগাদ সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। গত মাসে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে আনুতিন ও তার ভূমজাইথাই পার্টি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল, ওই বন্যায় অন্তত ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়।

এছাড়া কম্বোডিয়ার সঙ্গে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষের মধ্যেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত এলো। থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের অনুমোদিত ডিক্রিতে আনুতিন লিখেছেন, ‘এই সরকার দেশের সামনে আসা জরুরি সমস্যা দ্রুত সমাধানে জন প্রশাসনের সব ধরনের উপায় প্রয়োগ করেছে...কিন্তু দেশ চালাতে স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে জটিল অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে, এটি ধারাবাহিক, কার্যকর এবং স্থিতিশীল জনপ্রশাসন পরিচালনা করতে সক্ষম হয়নি।’

আনুতিনের প্রধানমন্ত্রিত্বকে সমর্থন দেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সবচেয়ে বড় যুবসমর্থিত, প্রগতিশীল দল পিপলস পার্টি তার পাশ থেকে সরে যাওয়ার পরই সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এলো। মতাদর্শিক দিক দিয়ে পিপলস পার্টি আর বাস্তববাদী, রক্ষণশীল ভূমজাইথাই পার্টির অবস্থান দুই বিপরীত মেরুতে। বিরোধী জোটের এই সমর্থন ছিল শর্তসাপেক্ষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত