ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দেওবন্দ নিয়ে রচিত বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ

দেওবন্দ নিয়ে রচিত বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ

বই : দারুল উলুম দেওবন্দ : ইতিহাস, ঐতিহ্য, অবদানের গৌরবদীপ্ত দেড় শতাব্দী

মূল : ড. মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ কাসেমি

অনুবাদ : ওয়ালি উল্লাহ আরমান ও শফি কাসেমি প্রমুখ

সম্পাদনা : মুফতি বাহাউদ্দিন জাকারিয়া

প্রচ্ছদ : হামীম কেফায়েত

প্রকাশক : শাইখুল ইসলাম একাডেমি

পৃষ্ঠা : ৮১৬

মূল্য : ১,৩০০ টাকা

সংযোগ : ০১৭১২ ৬৬৪ ৪০৪

‘দারুল উলুম দেওবন্দ কি জামে ওয়া মুখতাসার তারিখ’-এর বঙ্গানুবাদ ‘দারুল উলুম দেওবন্দ : ইতিহাস, ঐতিহ্য, অবদানের গৌরবদীপ্ত দেড় শতাব্দী’-এর মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র শিক্ষক ও আমিরুল হিন্দ আল্লামা সাইয়িদ আরশাদ মাদানি।

রাজধানী ঢাকার আরজাবাদ মাদ্রাসায় ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার এ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দারুল উলুম দেওবন্দের এ খ্যাতিমান মুহাদ্দিস বলেন, ‘দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাওলানা কাসেম নানুতবি (রহ.)-সহ দেওবন্দের একদল বিশিষ্ট বুজুর্গ ব্যক্তি। তাদের অন্যতম ছিলেন সাইয়িদ হাজি আবেদ হুসাইন, শাইখুল হিন্দ (রহ.)-এর পিতা মাওলানা জুলফিকার আলী (রহ.)। নানুতবি (রহ.)-এর যে ইলমি মর্যাদা ছিল, তা কারও ছিল না।

তিনিই প্রথমে দেওবন্দে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাদের এ সংগ্রামের ইতিহাস শুধু এক-দুদিনের নয়, এটি ১৮৬৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ বছরের ইতিহাস। এ ইতিহাসে রয়েছে তাদের ত্যাগ ও কোরবানির কথা। তবে সাধারণত এসব ইতিহাস উর্দুভাষায় লেখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে দেওবন্দের ওলামায়ে কেরামের বড় একটি পরিমণ্ডল রয়েছে; যারা হয়তো দেওবন্দে গেছেন বা দেওবন্দের ছাত্রদের থেকে জ্ঞান অর্জন করেছেন।

কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দেওবন্দের প্রকৃত ইতিহাস জানে না। অনেকের ধারণা, দেওবন্দের ইতিহাস কেবল মাদ্রাসায় পাঠদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। যদি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনচরিতের প্রতি লক্ষ্য করা হয়, দেখা যাবে- তিনি শুধু শিক্ষকই ছিলেন না, কোরআন-হাদিসের জ্ঞান প্রচার করেছেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ইতিহাস উর্দুতে লেখা ছিল। তাই দেওবন্দ মাদ্রাসার পক্ষ থেকে এটি বাংলায় অনুবাদ করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

যেন দেওবন্দের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ ইতিহাস জানতে পারেন। মাওলানা বাহাউদ্দিনকে আমি এ গ্রন্থের একটি কপি এনে দিয়েছি। তিনি এ বইয়ের অনুবাদ করিয়েছেন। আপনারা সবাই বইটি পড়ুন। দেওবন্দের ইতিহাস ও আমাদের পূর্বসূরিদের খেদমতের কথা জানুন।’

- আবু তাকরিম

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত