সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার(২২)। এ ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সুইসাইড নোটে শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার লিখেছেন- ‘সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুব জিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (.......) টাকাগুলো মা’কে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। পরের বার ফার্মেসি নিয়ে পড়বো। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃঞ্চ।’
শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার এবং সুপ্তা কর্মকার দম্পতির ছেলে। সে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসআই) বিভাগের ৩ বর্ষের ২য় সেমিস্টারের পরীক্ষার্থী ছিল।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান এই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে সে নকলসহ ধরা পড়ে। এ সময় দায়িত্বরত শিক্ষকরা তার খাতা নিয়ে তাকে হল থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার পর সে তার রুমে গিয়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় সুইসাইড নোটের সত্যতা নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ আরও জানান, ধ্রুবজিৎ কিছুদিন ধরেই হতাশাগ্রস্ত ছিল। হয়ত পরীক্ষায় নকল নিয়ে ধরা পড়ে সে মানসিকভাবে আরও ভেঙ্গে পড়েছিল। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক। ঘটনাটি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে।
সহপাঠীরা জানান, পরীক্ষার হলে নকল নিয়ে ধরার পড়ার পর বহিষ্কারের ভয়ে স্যারদের পায়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছিল ধ্রুবজিৎ। এরপরই সে হলে এসে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ সময় হলের রুমমেটরা সবাই পরীক্ষার হলে ছিল।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ই বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।