ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

সাবেক সহকারী মুফতি গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

প্রশ্ন : স্বামী-স্ত্রীর কেউ মারা গেলে একজন অন্যজনকে গোসল দিতে পারবে?

উত্তর : স্বাভাবিক অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে গোসল দিতে পারবে না, তবে স্ত্রী-স্বামীকে গোসল দিতে পারে। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/৩৩, খোলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২১৯, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/১৩)।

প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি মৃত্যুর আগে ওসিয়ত করেছিল, আমার জানাজার নামাজ অমুক আলেম পড়াবে; কিন্তু ঘটনাক্রমে মৃত্যুর দিন ওই আলেম উপস্থিত হতে পারেনি। পরে অভিভাবকের অনুমতিতে মহল্লার ইমাম নামাজ পড়িয়েছেন। জানার বিষয় হল, ওই ওসিয়ত পালন করা আবশ্যক ছিল?

উত্তর : না, প্রশ্নোক্ত ওসিয়ত পূর্ণ করা আবশ্যক ছিল না। সুতরাং মৃতের অভিভাবকের অনুমতিতে অন্যকে দিয়ে জানাজা পড়ানো ঠিক হয়েছে। (ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৯০, ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/২২৪, আদ্দুররুল মুখতার : ২/২২১)।

প্রশ্ন : জানাজার নামাজের নিয়ত করার সময় মৃত ব্যক্তি পুরুষ না নারী, তা জানা জরুরি কী? যদি কেউ এগুলো নির্দিষ্টভাবে না জেনে জানাজা পড়ে, তাহলে তার নামাজ সহিহ হবে?

উত্তর : জানাজার নামাজ আদায়ের জন্য মৃত ব্যক্তি পুরুষ না নারী, তা নির্ধারণ করা জরুরি নয়। কেউ তা না জেনে শুধু সামনে রাখা মৃত ব্যক্তির নিয়ত করলেও তার নামাজ সহিহ হয়ে যাবে। (আল-বাহরুর রায়েক : ১/২৮৩, শরহুল মুনইয়া : ২৪৯, ফতোয়ায়ে শামি : ১/৪২৩)।

প্রশ্ন : জানাজার নামাজে অনেককে দেখা যায়, জুতা পরে দাঁড়ায়। জানার বিষয় হলো, জুতার নিচে নাপাকি থাকাবস্থায় ওই জুতার ওপর দাঁড়ালে নামাজ সহিহ হবে?

উত্তর : জুতা খুলে তার ওপর দাঁড়ালে সে ক্ষেত্রে জুতার নিচে নাপাকি থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে। (ফতোয়ায়ে কাজিখান : ১/২১, হাশিয়াতুত তাহতাবি আলা মারাকিল ফালাহ : ৩১৯, গুনইয়াতুল মুতামাল্লি : ২০৮)।

প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি দুই তাকবির হয়ে যাওয়ার পর জানাজার নামাজে ইমামের সঙ্গে শরিক হয়েছে, এখন সে বাকি নামাজ কীভাবে পূর্ণ করবে?

উত্তর : প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় তাকবির বলে দুরুদ পড়বে। এরপর সালাম ফিরিয়ে যথানিয়মে নামাজ শেষ করবে। প্রকাশ থাকে, তাকবির পরবর্তী দোয়া পড়ার আগেই খাটিয়া তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা থাকলে দোয়া না পড়ে শুধু তাকবির বলে সালাম ফেরাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ৭/২৭৭, বোখারি : ১/৫৫৮, খোলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২২৩)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত