নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়া ছাড়া গণতন্ত্রের অগ্রগতির সুযোগ নেই। অগ্রগতির জন্য নির্বাচন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। অন্য কোনো পথ খুঁজতে গেলে জনমনে সন্দেহের উদ্বেগ হবে। এতে জনগণ হতাশ হবে, গণতন্ত্র আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি-এনপিপি আয়োজিত বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খসরু বলেন, দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে তারা। সুতরাং এই দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত চলবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সংসদ গঠন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম কিছু করার সুযোগ নেই। কেউ যদি মনে করে শেখ হাসিনা যেভাবে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিলেন, শেখ মুজিব বাকশালের মাধ্যমে যেভাবে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিলেন তাহলে তার বিরুদ্ধে পুরো দেশের মানুষ দাঁড়িয়ে যাবে।
৭ ছর আগে বিএনপি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেখানে দুইবারের অধিক কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, এগুলো ছয় বছর আগে খালেদা জিয়া বলেছেন। হাসিনা-পরবর্তী যে বাংলাদেশ হবে এটাকে মাথায় রেখে খালেদা জিয়া কথাগুলো বলেছেন। সংস্কারগুলো দরকার হবে আগামীর বাংলাদেশে। আজ তারা সেই প্রস্তাবগুলো বলছে। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরো বলেন, আমরা দুই বছর আগেও যুগপৎ আন্দোলন দলগুলোকে নিয়ে ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছি। সুতরাং শেখ হাসিনা পতনের পর আগামী বাংলাদেশ কেমন হবে তার প্রস্তাব আমরা আগেই দিয়েছি। সেই কথাগুলো এখন আলোচনা চলছে, নতুন কোনো কিছু নেই। আগামী দিনে বিএনপি জাতীয় সরকারের গঠনের মাধ্যমে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে। বিএনপিসহ যুগপৎ শরীকরা ৩১ দফা বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস করবে বিএনপি। আর কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মনে করে তারা যদি মনে করে তাদের কিছু প্রস্তাব আছে তাহলে তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের কি পরিবর্তন হবে, কি সংস্কার হবে, সেটা ভুল হবে। আমীর খসরু বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল কারণ ছিল গণতন্ত্র। যেটা একদলীয় বাকশালের মাধ্যমে কেড়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র ছিল বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া।