
রাজশাহীতে ধানের জমিতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন শিরোনামে আলোচিত চাঞ্চল্যকর কৃষক আমিরুল মোমিন হত্যা মামলার এজাহানামীয় আসামি মিজানুর’কে মতিহার থানা এলাকা হতে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানাজায়, র্যাব-৫, সদর কোম্পানী রাজশাহীর একটি চৌকস আভিযানিক দল গতকাল রাজশাহী মহানগরের মতিহার থানাধীন ধরমপুর গ্রামস্থ জনৈক আবু তালেব এর বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার ৬নং এজাহারনামীয় আসামি মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৫০) গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। আসামিকে রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এজাহারনামীয় ৬ নং আসামী মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মিজু (৫০) তাহার সৎ ভাই।
ভিকটিমের পরিবারের সাথে মিজানুর এর পূর্ব থেকেই শত্রুতা ছিল। আসামী মিজানুরের ভিকটিমের বাড়ির পাশে ১০ কাঠা জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করা ছিল। গত ২১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় ভিকটিমের বাড়ির ২টি পাতিহাঁস মিজানুরের জমিতে ধানের চারা নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে আসামিগণের সাথে ভিকটিমের ঝগড়া বিবাদ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিকাল অনুমান ৪ টার দিকে এজাহারনামীয় ১ নং আসামি রয়েল এর উস্কানিতে সকল আসামি মিজানুর সহ ১০/১১ জন পূর্বশত্রুতার জের ধরে দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় মারাত্মক অস্ত্র ধারালো হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি সহ ঘটনাস্থল রাজশাহী মহানগরের দামকুড়া থানার আলিমগঞ্জ গ্রামস্থ ভিকটিমের বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
ভিকটিম এবং তার ভাই কোর্ট বাজারে থাকায় গালিগালাজের সংবাদ পেয়ে বিকাল অনুমান পৌনে ৫টার দিকে বাড়ির সামনে উপস্থিত হইলে আসামি রয়েল হাসুয়া দিয়ে ভিকটিমের ঘাড়ের বামপাশে আঘাত করলে ভিকটিম গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হইয়া প্রাণে বাঁচার উদ্দেশ্য বাড়ির ভেতরে গিয়ে সামনের দরজা আটকে দিলে আসামিরা বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে ভিকটিমসহ তার ভাইকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ভিকটিম ও তার ভাই গুরুতর জখম হয়। এসময় ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ভিকটিমের পরিবারের সকলকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম এবং তার ভাইকে রাজশাহী মেডিকেল জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে আরএমপি রাজশাহী এর দামকুড়া থানায় ৭ জনকে এজাহারনামীয় ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযানে নামে র্যাব। এরমধ্যেই মামলার ১,২,৩,৪ ও ৫ নং আসামিকে গ্রেপ্তার করে দামকুড়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৫ রাজশাহী।