ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নিহত ছয় সাংবাদিকের বিচার নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের বিবৃতি

নিহত ছয় সাংবাদিকের বিচার নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের বিবৃতি

গত বছর জুলাই আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ ও প্রতিবাদকারীদের গণপিটুনিতে ছয় সাংবাদিক নিহত হন। সেই আন্দোলনের এক বছর পার হলেও, এই সাংবাদিক হত্যার কোনো বিচার হয়নি। এই ছয় সাংবাদিক হত্যার বিচার নিশ্চিতে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। আরএসএফ বলেছে, সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ আদালত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) বিচারিক জবাবদিহি প্রদানে ধীরগতি প্রদর্শন করছে।

২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে পাঁচ সাংবাদিক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ষষ্ঠজন প্রতিবাদকারীদের হাতে গণপিটুনিতে নিহত হন। এছাড়া এই গণআন্দোলনের সময় অন্তত ২৫০ গণমাধ্যমকর্মী আহত হন। সে সময় এসব অপরাধের জন্য দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিল আরএসএফ। তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও আইসিটি কেবল সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাবের (১৯ জুলাই ২০২৪) হত্যাকাণ্ডে দুজন সন্দেহভাজনকে স্বল্প সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করে। সাংবাদিক মেহেদী হাসান (১৮ জুলাই ২০২৪) হত্যাকাণ্ডে মাত্র দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ছয় সাংবাদিকের পরিবার এখনও অপেক্ষা করছে তদন্তের সমাপ্তির জন্য। এদিকে নিহত মেহেদী হাসানের পিতা এবং ১৯ জুলাই নিহত ভিডিও সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়োর মাতা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মামলার আসামিরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাইব্যুনালটি ২০১০ সালে শেখ হাসিনা কর্তৃক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ বিচারের জন্য গঠিত হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই আদালতকে সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। নিহত সাংবাদিকদের পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে আরএসএফ। বলেছে, বিচার না হলে তাদের শোক কখনওই শেষ হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক বছর হতে যাচ্ছে। অথচ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখনও ছয় সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে কার্যত নীরব ও নিষ্ক্রিয়। এ ধরনের দায়মুক্তি চলমান রূপান্তর প্রক্রিয়া এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বদানকারী মো. ইউনূস সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই ছয় সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব অভিযুক্তের দ্রুত বিচারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত