ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তিস্তার পানি কমছে তবে প্লাবিত অঞ্চলে চরম দুর্ভোগ

তিস্তার পানি কমছে তবে প্লাবিত অঞ্চলে চরম দুর্ভোগ

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পর তিস্তা নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১০ মিটার, যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে।

এর আগের দিন, গত রোববার একই সময় এই পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের সব জলকপাট এখনও খোলা রয়েছে। পাউবো সূত্র জানায়, টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির প্রবাহে হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গতকাল রাতে জেলার তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজারো পরিবার। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের। অনেক এলাকায় সড়কপথ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় নৌকা ও ভেলা এখন একমাত্র ভরসা।

পানি বৃদ্ধির ফলে পাটগ্রাম, আদিতমারী, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাটগ্রামের দহগ্রাম, গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী, আদিতমারীর মহিষখোঁচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে। মহিষখোঁচা ইউনিয়নের রিয়াজুল হোসেন বলেন, ‘গতকাল ও পরশু থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর পানি বাড়তে থাকে। গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছি। এখনও কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কেউ খোঁজ নেয়নি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত