ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ব্র্যান্ডের স্ক্যানার মেশিন

কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ব্র্যান্ডের স্ক্যানার মেশিন

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রেলস্টেশনে বসানো হয়েছে স্ক্যানার। গতকাল সোমবার সকালে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ব্র্যান্ডের স্ক্যানার মেশিনটি বাসানো হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে প্রবেশ করছে যাত্রীরা। যাত্রীদের হাতভর্তি ব্যাগ। কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ওঠার আগে স্ক্যানার মেশিনে ব্যাগ রাখতে হচ্ছে যাত্রীদের। যা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং নিরাপত্তাবাহিনী যৌথভাবে এই স্ক্যানিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্ক্যানিং করার সময় কোনো ধরনের বস্তু শনাক্ত হলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ খুলে তা দেখছেন। এতে যাত্রীরাও কোনো ধরনের বিরক্তবোধ করছেন না। উল্টো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করছেন।

রেলস্টেশনে লাগেজ স্ক্যানিং চালু হওয়ায় ট্রেনভিত্তিক অপরাধ রোধ, মাদক ও অবৈধ পণ্যের প্রবাহ ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কালেক্টর শান্ত বড়ুয়া।

তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে মাদক ও চোরাচালান বেড়েছে, যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার রেলস্টেশনে লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। তবে যাত্রীদের কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুর্ভোগের শিকার না হয়। এক্ষেত্রে ট্রেন ছাড়া অন্তত আধা-ঘণ্টা আগেই স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে যাত্রীদের। টিকিট কালেক্টর শান্ত বড়ুয়া বলেন, স্ক্যানিং মেশিনটা সুদূর আমেরিকা থেকে আনা হয়েছে। এই মেশিনে ওষুধ জাতীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে যেকোনো আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও চোরাইপণ্য শনাক্ত করা যাবে। মেশিনে নির্দিষ্ট কিছু ওপর শনাক্ত চিহ্ন রয়েছে, শনাক্ত হওয়া ব্যাগই শুধু তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের বিড়ম্বনা সৃষ্টি না, সেদিকটাও খেয়াল রাখা হচ্ছে।

এদিকে নতুন প্রযুক্তিতে সন্তুষ্ট যাত্রীরাও। তারা বলছেন, এতে করে রেলভ্রমণ হবে আরও নিরাপদ। তবে যেন হয়রানির শিকার না হয় সাধারণ যাত্রীরা।

ঢাকাগামী যাত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, ‘নতুন এই উদ্যোগ আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, এটা ভালো দিক। তবে যেন অহেতুক হয়রানি না হয়, সেটাও দেখতে হবে।’

একই কথা বলেন অপর যাত্রী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা পরিবার নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করি, তাদের জন্য এটি স্বস্তির খবর। তবে দ্রুত স্ক্যানিং করতে পারলে ভালো হয়, যেন লাইন না পড়ে যায়।

কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। বর্তমানে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন এবং কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত