
রংপুরে ৩৬ জুলাইয়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সামনে পুরাতন লহ্মী টকিজের স্থানে স্থাপিত ‘জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শহিদ পরিবারের পক্ষে শহিদ আবু সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ডি আই জি মোহাম্মদ মো. আমিনুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মজিদ আলী, ডেপুটি কমিশনার রবিউল ফয়সাল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
পরে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’-এর অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শহিদ পরিবার, আহত ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিয়ে এক সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে শাপলা চত্বর থেকে শহিদ আবু সাঈদ চত্বর পর্যন্ত এক র্যালি বের হয়।
একই সময়ে নগরীর সদর হাসপাতাল মসজিদ থেকে ‘শুকরিয়া র্যালি’ বের করে উলামা জনতা ঐক্য পরিষদ, রংপুর। সকাল ১১টায় রংপুর আইনজীবী সমিতির আয়োজনে শহিদ আবু সাঈদসহ সব শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে, দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে টাউন হল চত্বর থেকে রংপুরের সর্বস্তরের ফ্যাসিস্টবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিজয় মিছিল বের হয়। বিকাল ৩টায় সিটি পার্ক মার্কেটের সামনে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তিতে সমাবেশ ও গণমিছিলের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিকাল সাড়ে ৩টায় রংপুর জেলা ও মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে মিছিল বের করে।
রংপুর নগরীর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে মহানগরীর প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড থেকে জামায়াতের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক সমবেত হন। পরে সেখান থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে নগরীর সিটি বাজার, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, গ্র্যান্ড হোটেল মোড় প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৮ উপজেলায় উদ্যোগে মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় : ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। র্যালি শেষে প্রীতি খেলার আয়োজন করা হয়। বিকাল সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীয় মসজিদে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যা ৭টায় আতশবাজি প্রদর্শন এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গান, কবিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানকে স্মরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে তিনটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।