ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অমর একুশে গ্রন্থমেলা

পঞ্চম দিনে বইমেলায় এসেছে ৯৮ নতুন বই

পঞ্চম দিনে বইমেলায় এসেছে ৯৮ নতুন বই

বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলা যেমন জমে উঠেছে তেমনি বেড়েছে নতুন বইয়ের সংখ্যা। গতকাল ৫ম দিনে নতুন ৯৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল মেলা শুরু হয়েছে বিকাল ৩টায়। বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হোসেনউদ্দীন হোসেন প্রান্তবাসী বিরল সাহিত্যসাধক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহমেদ মাওলা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আবুল ফজল। সভাপতিত্ব করেন শহীদ ইকবাল।

প্রাবন্ধিক বলেন, গভীর জীবনবোধ, ইতিহাস-চেতনা এবং প্রাগ্রসর চিন্তাশক্তি হোসেনউদ্দীন হোসেনকে সৃষ্টিশীল ও বিরল সাহিত্য-ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। কৃষক পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি নিজেকে কৃষক পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। হোসেনউদ্দীন হোসেনের কর্মজীবন যেমন বৈচিত্র্যময়, লেখালেখির ক্ষেত্রেও ছিলেন বহুমুখী। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জীবনীমূলক রচনা ইত্যাদি বিষয়ে স্বতন্ত্র চিন্তার মৌলিক গ্রন্থ রয়েছে তার। গভীর জীবনবোধ ও বাস্তবতার বিনির্মাণ, রূপক তৈরির কুশলতা তাকে কালোত্তীর্ণ শিল্পীর মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। তিনি ইতিহাসের দায়বদ্ধতা থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে বাংলার সংগ্রামী চেতনাকে দেখেছেন। আলোচক বলেন, হোসেনউদ্দীন হোসেন মানুষ হিসেবে ছিলেন অত্যন্ত সাধারণ। বিস্তৃত পঠন-পাঠন ও জ্ঞানের গভীরতা তার লেখালেখির জগৎকে সমৃদ্ধ করেছে। চিন্তার গভীরতায় ও জ্ঞানের পরিশীলনে তিনি ছিলেন মৌলিক। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সাহিত্যের নানাবিধ বিষয় নিয়ে যেমন তিনি তার গভীর প্রজ্ঞার আলো ছড়িয়েছেন, তেমনি এ দেশের ইতিহাস- ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়েও তার নিবিড় পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। সভাপতির বক্তব্যে শহীদ ইকবাল বলেন, হোসেনউদ্দীন হোসেন ছিলেন একজন সহজাত লেখক। কবিতা দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু করলেও গদ্যের জগতে নিজ প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। তার লেখায় বুদ্ধিবৃত্তি ও মননশীলতার ছাপ স্পষ্ট।

লেখক হতে গেলে যে সততা, নিবিষ্টতা ও একাগ্রতা দরকার, তিনি আজীবন তার চর্চা করে গেছেন। গতকাল লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন- কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক শিবলী আজাদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন। কবি আতাহার খান এবং আলমগীর হুছাইন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রানা আহমেদ এবং কাজী সামিউল আজিজ। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বুলবুল ইসলাম, মো. আরিফুর রহমান, তাপসী রায়, পাপড়ি বড়ুয়া, ফারাহ হাসান মৌটুসী, মো. হারুনুর রশিদ, কামাল আহমেদ এবং নুসরাত বিনতে নূর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত