বগুড়ায় ফিলিপাইন জাতের আখ চাষ করছে অনেক উদ্যোক্তা। আখ চাষ করে তৈরি করছেন গুড়। আখ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই। ফিলিপাইন জাতের উচ্চ ফলনশীল কালো আখ চাষ বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ সুমিষ্ট ও ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক হওয়ায় চাষিরা এ জাতের আখ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ফিলিপাইন আখ লম্বায় সাধারণত ১৪ থেকে ১৫ ফুট। যাদের লিভার এবং জন্ডিসের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য আখের রস খুবই উপকারী। আখে কিছু ফাইবার রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়া রমজানে আখের রস মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখে। দেশীয় আখের মতো হলেও আছে বেশ কিছু ভিন্নতা। এই আখের রস বেশি মিষ্টি, লাভও বেশি। গুড় তৈরির কারিগর লতিফ জানায়, অন্যান্য জাতের আখ থেকে ফিলিপাইন জাতের আখটি ভিন্ন। এ জাতের আখের রস বেশি এবং মিষ্টিও। একটি আখ থেকে প্রায় ৩ লিটার রস পাওয়া যায়। ১৮ লিটার রস থেকে প্রায় ৩ কেজি থেকে ৪ কেজির মতো গুড় উৎপাদন করা যায়। যা খুবই দানাদার ও মিষ্টি। চাষি কালাম জানায়, লেখাপড়া শেষে চাকরির পিছে না ছুটে কৃষি কাজ শুরু করি। আমি অন্য জেলা থেকে চারা সংগ্রহের পর শুরু করি ফিলিপাইন জাতের আখ চাষ। এখন আমার খামারে দৈনিক ৭ থেকে ৮ জন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তার উৎপাদিত আখ থেকে খাঁটি গুড় তৈরি করা হচ্ছে এবং নিজের নার্সিংকৃত চারা স্বল্প মূল্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় এখন ফিলিপাইন জাতের আখের চাষ শুরু করছেন অনেক চাষিরাই। লাভবান হওয়ায় জেলাজুড়ে কৃষকরা এখন আখ চাষে ঝুঁকছে। চিনি মিলে আখের সেরকম চাহিদা না থাকলেও আখের রস দিয়ে অনেক উদ্যোক্তা গুড় তৈরি করছে। এই গুড় বগুড়া জেলার চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জেলাতেও রপ্তানি হচ্ছে। শুধু উদ্যোক্তা নয় হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে। নির্ভেজাল গুড় হওয়ায় ক্রেতারা অধিক দামে ক্রয় করতে দিধা করছে না। ফিলিপাইন আখের কারণে গুড় বেশি মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদা দিনে দিনে শুধু বাড়ছে।