ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জুলাই আন্দোলনে ‘অংশ নেওয়া’ কারাবন্দি-আটক প্রবাসীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

জুলাই আন্দোলনে ‘অংশ নেওয়া’ কারাবন্দি-আটক প্রবাসীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

জুলাই আন্দোলনে ‘অংশ নেওয়ায়’ কারাবন্দি-আটক হওয়া প্রবাসীদের মুক্তিসহ চার দাবিতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শতাধিক ব্যক্তি।

আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে ‘জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলফেরত ভুক্তভোগী প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধারা’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কর্মসূচিতে ভুক্তভোগী প্রবাসীদের স্বজনরাও অংশ নিয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা চারটি দাবি জানিয়েছেন। এগুলো হলো জুলাই আন্দোলনের মামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে কারাবন্দি, আটক প্রবাসীদের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করা। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে ফেরত আসা প্রবাসীদের ‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। দেশে ফেরত আসা ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনর্বাসন করা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে ফেরত আসা প্রবাসীদের রাষ্ট্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।

শাহবাগ থানার পুলিশ সূত্র জানায়, এই আন্দোলনকারীরা সকালে শাহবাগ এলাকায় জড়ো হন। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হন। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে তারা সেখানে অবস্থান নেন। এতে বাংলামোটর হয়ে যমুনা অভিমুখের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বেলা দেড়টার দিকে পুলিশের সহায়তায় আন্দোলনকারীদের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। অন্যরা সেখানকার সড়কে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে তাদের স্বজনরা জেলে যান, আটক হন। তাদের মধ্যে ১৮৯ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন। তাদের মুক্তিতে সহায়তা করেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু এখনও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে প্রবাসীরা কারাবন্দি-আটক আছেন। তাদের মুক্তির বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সংযুক্ত আরব আমিরাতফেরত সগীর তালুকদার বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্য দেশে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন। স্বামীর মুক্তির দাবি জানিয়ে এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার নুরুন নাহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে আমার স্বামী ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেলে বন্দি। আমার আরেক ভাইও সেখানে আটক। আমরা বেশি কিছু চাই না। তাদের মুক্তি চাই।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত