ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

কুষ্টিয়ায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য

কুষ্টিয়ায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য

কুষ্টিয়ায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে অধিক লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা দিন দিন তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। অর্থকরী ও লাভজনক মৌসুমি রসালো ফল তরমুজ চাষ বৃদ্ধিতে প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতার।

চলতি খরিপ-১ মৌসুমে কুষ্টিয়ায় গোল্ডেন ক্লাউন, ব্লাকবেরিসহ বিভিন্ন জাতের ২৪ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন রংয়ের তরমুজ চাষ হয়েছে। এরইমধ্যে সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুরে চাষ হয়েছে ২ হেক্টর জমিতে। এতে বেশ সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। মাত্র দুইমাস সময়কালীন লাভজনক ও অর্থকরী ফল তরমুজ চাষে প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকদের খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের লাভ হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ বা তারও বেশি।

দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গরুড়া গ্রামের কৃষক শাহ আলম সম্রাট ২০ শতাংশ জমিতে ব্লাকবেরি জাতের কালো রংয়ের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। উচ্চ ফলনশীল ব্লাকবেরি জাতের তরমুজ চাষ করতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী পেয়েছিলেন তিনি। যাবতীয় খরচসহ সব ধরনের পরামর্শ পাওয়ায় তরমুজ চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন কৃষক শাহ আলম সম্রাট। তার সফলতায় অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন তরমুজ চাষে। গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ও রসালো ফল হওয়ায় অনেকে ক্ষেত থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে টাটকা তরমুজ ক্রয় করতে ছুটে যাচ্ছেন খেতে। আবার তরমুজ চাষে এমন সাফল্য দেখে অনেকে তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন ও পরমার্শ নিচ্ছেন অনেকে। মাত্র আড়াই মাস সময়কালীন লাভজনক ফল তরমুজ চাষ অনেক ভালো হয়েছে। এ বছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজের বাজারে দামও ভালো। কৃষককে নিরাপদ প্রযুক্তি প্রদানসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন বলে জানিয়েছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুল হক। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ বছর দৌলতপুরে ২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়েছে। সেক্ষেত্রে কৃষি বিভাগও কিছু কৃষককে প্রদর্শনী ও সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি কারিগরি পরামর্শ দিয়েছেন। যার ফলে কৃষকরা সফলতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম। গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন রংয়ের তরমুজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কৃষি বিভাগও তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও কারিগরি পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে তরমুজ চাষের মাঠ দিবসও করা হয়েছে। আগামীতে তরমুজ চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুফি মো. রফিকুজ্জামান। ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে কৃষকদের বিরত রাখতে অধিক লাভজনক তরমুজসহ বিভিন্ন ধরণের অর্থকরী ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত