৫৮ দিন বিরতির পর ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা শুরু করেছে জেলেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে উপকূলে মাছ ধরতে নামেন তারা। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১২ জুন পর্যন্ত টানা ৫৮ দিন মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় বিরতির পর সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু হলো।
সব প্রজাতির মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এই ৫৮ দিন যে কোন প্রজাতির মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ায় সমুদ্রে ফের মাছ ধরা শুরু করেছে ভোলার প্রায় ২ লাখ জেলে।
এদিকে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের প্রত্যেক পরিবারকে ৭৮ কেজি করে চাল দিয়েছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সমুদ্রে কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে ভোলায় সরকারের নির্ধারিত তালিকার বাইরেও সমুদ্রগামী জেলের সংখ্যা লক্ষাধিক হবে বলে দাবি করেছেন মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জেলে সমিতির নেতারা।
ভোলা সদর ইলিশা মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাদশা মিয়া জানান, ভোলা সদর হতে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া প্রকৃত জেলের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এসব জেলেদের সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে না। ভোলার মেঘনা পাড়ের তুলাতুলি নামক এলাকার জেলেরা জানান, সকালেই ওই পল্লির শতাধিক জেলে তাদের জাল ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন। জেলার ৭ উপজেলা থেকেই অসংখ্য জেলে সমুদ্রে মাছ শিকার করতে নেমে পড়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের গত ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। এ সময় সরকার প্রত্যেক জেলের জন্য মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করে। নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রথম দিকেই জেলেদের মধ্যে এসব চাল বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।