বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে বন্ধসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে গুম ও হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারদের সংগঠন মায়ের ডাক। গতকাল শনিবার কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর হেফাজতে বিএনপি নেতা নিহতের অভিযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দেয়া গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠক সানজিদা তুলি স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে বলা হয় ‘কুমিল্লায় গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলাম (৪০) অমানবিক নির্যাতনের ফলে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবার জানিয়েছে, আটক করার পর তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়, যার ফলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলেও চিকিৎসক দুপুর ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ এতে আরো বলা হয়, ‘আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞ কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়! বছরের পর বছর আমরা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়েছি, ছাত্র-জনতা রক্ত ঢেলেছে-তবু কেন নিরপরাধ মানুষ এভাবে প্রাণ হারাবে? কেন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে একের পর এক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটবে?’ মায়ের ডাকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সত্যটা স্পষ্ট- মিলিটারিই মব! গুম, খুন, কাস্টডিয়াল টর্চার এ সবের পেছনে তাদের রক্তমাখা হাত। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের যন্ত্র ভেঙে ফেলতে হবে, অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনতে হবে। আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম সেপ্টেম্বরে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরুর পর এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের পথ আরো প্রশস্ত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি তো হয়নি, বরং সেনা সদস্যদের হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েছে।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয় আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাই এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন। ‘হেফাজতে মৃত্যু’ নিয়ে বাংলাদেশে মাত্র একটি মামলা হয়েছে, যা পুরো বিচার ব্যবস্থার ব্যর্থতার প্রতীক। এটি চলতে পারে না!
সংগঠনটির পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয় : ১. যৌথবাহিনীর এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।