প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ০৬ আগস্ট, ২০২৫
বৃষ্টি উত্তপ্ত পৃথিবীকে স্বস্তির পরশ বুলায়। কবির কবিতা, লেখকের গল্প, উপন্যাসিকের উপন্যাসে বৃষ্টিকে উপজীব্য করে প্রচুর লেখা রয়েছে। বৃষ্টির প্রভাব প্রতিটি হৃদয়ে পড়ে কমবেশি। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনেও রয়েছে এর প্রভাব। তিনিও করেছেন বৃষ্টিবিলাস। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন আমাদের বৃষ্টি পেল। তিনি তার গায়ের পোশাকের কিছু অংশ সরিয়ে নিলেন, যেন গায়ে বৃষ্টি লাগে। আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কেন এমনটি করলেন?’ তিনি বললেন, ‘কারণ, বৃষ্টি তার প্রতিপালকের কাছ থেকে সদ্য আগত।’ (মুসলিম : ৮৯৮)। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি পৃথিবীকে নিষ্প্রাণ দেখতে পাও। এরপর আমি যখন এর ওপর পানি বর্ষণ করি, তখন তা সক্রিয় হয়ে ওঠে ও ফেঁপে-ফুলে ওঠে। আর প্রত্যেক প্রকার উদ্ভিদের সবুজ-শ্যামল শোভামণ্ডিত জোড়া উৎপন্ন করে।’ (সুরা হজ : ৫)। বৃষ্টির সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) বেশি বেশি দোয়া করতেন। কারণ, বৃষ্টির সময় আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুই সময়ের দোয়া কখনও ফেরত দেওয়া হয় না- ১. আজানের সময় যে দোয়া করা হয় এবং ২. বৃষ্টি চলাকালীন যে দোয়া করা হয়।’ (সুনানে আবি দাউদ : ২৫৪০)।