বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শিল্প খাতের সাফল্য এবং বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে আগামী ১৭-১৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ইউরোপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) এর উদ্যোগে এবং পিডিএস লিমিটেডের সহায়তায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সম্মেলন ও প্রদর্শনী আমস্টারডামের অন্যতম আইকনিক ভেন্যু বেয়ার্স ভ্যান বারলেজে অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে সহযোগী হিসেবে থাকছে সিটি ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ এবং কেডিএস গ্রুপ। বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই সম্মেলন ও প্রদর্শনী আয়োজনে সহযোগিতা করছে। এই সম্মেলন ও প্রদর্শনীর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে শিল্প খাতের অগ্রগতি, উদীয়মান শিল্পগুলোর সম্ভাবনা এবং বিনিয়োগের সুযোগগুলো তুলে ধরা। পাশাপাশি, সাসটেইনেবিলিটি, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং শিল্প খাতে বিনিয়োগের নানা সম্ভাবনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৩৭তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। দেশটির অর্থনৈতিক সাফল্য এবং নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে অর্জিত এই অসামান্য সফলতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরাই এই সম্মেলন ও প্রদর্শনীর অন্যতম লক্ষ্য। বাংলাদেশ কীভাবে উদ্ভাবনে অগ্রসর হচ্ছে এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনাসমূহ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটাও তুলে ধরা হবে এই আয়োজনে। এই সম্মেলন ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইউরোপীয় এবং বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে, যা ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ, জ্ঞান-বিনিময় এবং পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’- এ বাংলাদেশের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের প্রায় ৫০টি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উদ্ভাবনী পণ্য, সাসটেইনেবিলিটি উদ্যোগ, সার্কুলারিটি এবং ট্রান্সপারেন্সি বা স্বচ্ছতার ক্ষেত্রগুলো প্রদর্শন করবে। দর্শনার্থীরা এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করবেন। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্যানেল আলোচনা, প্রদর্শনী এবং ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হবে, যা বাংলাদেশের শিল্প ও পরিবর্তিত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ এবং ইতিবাচক ধারণা দেবে। বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশি ও আন্তর্জাতিক আলোচক এবং ১৫০০শ’রও অধিক দর্শনার্থী সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।