কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী কাঁচা চামড়া লবণ না দিয়ে দরকষাকষি এবং আড়তদারের কেনার অনীহায় কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবার কোরবানি ঈদে এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ, ১৩ লাখ ৮ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে আড়তদার, ব্যবসায়ী, ট্যানারি মালিকরা নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব অর্থায়নে লবণ সংগ্রহ করে চামড়া সংরক্ষণ করেছে।
২০২৫ সালে পশুর চাহিদা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণে লবণের প্রয়োজন ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৪৮ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের মজুত করা হয়েছিল ৯৩ হাজার ২২৯ মেট্রিক টন। জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের পর্যাপ্ত মজুদ ছিল, কোথাও কোনো ঘাটতি ছিল না। ছাগলের চামড়ার যেন দামই নেই, বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা দরে ও ছাগলের চামড়ার যেন দামই নেই। এতে আরও বলা হয়, এরপরেও দেশের কয়েকটি স্থানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে যা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়ায় লবণ না দিয়ে আড়তদারদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দরকষাকষি ও আড়তদাররা কিনতে অনীহা প্রকাশ করায় মূল্যবান চামড়া নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রথম সরকারের এ বিশেষ উদ্যোগের ফলে গত বছর এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোতে যেখানে ২ লাখ ৯ হাজার লাখ চামড়া সংরক্ষণ করেছিল, সেখানে এ বছর ৯ হাজার ৩৩০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক হিসাবে ১৩ লাখ ৮ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর সাভার ট্যানারি নগরের সিইটিপিতে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল মজুদ, ইঞ্জিনের ওভারহলিং ও পুকুর খননসহ অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজ আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে।