দিন যত যাচ্ছে তত খাদের মধ্যে পতিত হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। পুঁজি হারিয়ে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা এখন দিশেহারা। বিনিয়োগ করা পুঁজি রক্ষার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। পতনের এ ধারা কোথায় গিয়ে থামবে, তারও কোনো দিশা নেই। ফলে দিন যত যাচ্ছে শেয়ারবাজারে আস্থার সংকট তত প্রকট হচ্ছে। বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের হাহাকার। গত কয়েক কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। ভালো, মন্দ সব খাতের প্রতিষ্ঠানের ঢালাও দরপতনের কারণে মূল্যসূচকেরও বড় পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে। অন্যভাবে বলা যায়, করোনা মহামারির আমলে ফিরে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। ২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনা মহামারি শুরু হলে এতে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। করোনার প্রভাবে জনজীবনের পাশাপাশি অর্থনীতিতেও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের মার্চে। এরপর দেশের শেয়ারবাজারে ভয়াবহ দরপতন শুরু হয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে, টানা ৬৬ দিন শেয়ারবাজার বন্ধ রাখার ঘটনা ঘটে। এদিকে, চতুর্থ কার্যদিবসে প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে অন্য দুই সূচক। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭০৮ পয়েন্টে নেমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৫টির। আর ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে।