দেশের স্বার্থে স্থলবন্দরগুলোকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্থলবন্দরের অগ্রগতি, অর্থনীতির সমৃদ্ধি’ শীর্ষক স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য দেশের স্থলবন্দরগুলো গুরুত্বপূর্ণ। দেশের স্বার্থে বন্দর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলো দেশের সীমান্তবর্তী হওয়ায় দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে বন্দরসমূহ সরাসরি জড়িত। এজন্য স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য নীতি নির্ধারণের বিষয়ে দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে আরও কৌশলী হতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে স্থলবন্দরগুলো আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, অতীতে আমাদের ভূরাজনৈতিক সচেতনতা ও সক্ষমতার অভাব ছিল। এর কারণে উপযুক্ত সমীক্ষা ছাড়াই অনেক বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নতুন স্থলবন্দর স্থাপনে আরও সতর্ক থাকতে হবে। বন্দর ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এসময় উপদেষ্টা দেশের স্বার্থে, দেশকে ভালোবেসে বন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ স্থলবন্দরগুলোর আধুনিকায়নে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন। এছাড়া তিনি বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে স্থলবন্দরগুলোতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। আলোচনা সভার সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বন্দর ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।