চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
গত বুধবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা যায়, ছয় দেশের সাত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এসব পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জিটুজি মেয়াদি চুক্তির আওতায় পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়ের প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইস অনুযায়ী ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
সুপারিশ করা দরদাতা সাতটি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে রয়েছে- থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, আরব আমিরাতে ইএনওসি, চীনের প্রেট্রোচীনা ও ইউনিপেক, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল এবং ভারতের আইওসিএল। বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি।এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জুন ২০২৫ মাসে ২৫ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন (বিএসপি) থেকে এই অকটেন আমদানিতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রতি ব্যারেলের প্রিমিয়াম প্রাইস ৫.৯৩ মার্কিন ডলার এবং রেফারেন্স প্রাইস ৭৩.৬১০ মার্কিন ডলার।