ঢাকা শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি বেড়েছে ৮.৫৮ শতাংশ

বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি বেড়েছে ৮.৫৮ শতাংশ

২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) ১১ মাসে ৪৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন দেশের উদ্যোক্তরা। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

গতকাল বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫২ শতাংশ, পোশাক খাতে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ, প্ল্যাস্টিক পণ্যে ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ, হোম টেক্সটাইলে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবদ্ধি হয়েছে।

অন্যদিকে পাটজাত পণ্যে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ, কাচজাত পণ্যে ৩৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কারখানাগুলোতে ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি এবং মাসের শেষে এনবিআরের শাটডাউনে দুইদিন বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে জুন মাসে রপ্তানি আয় সাড়ে ৭ শতাংশের বেশি কমেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। মে মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।

আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, জুনে মাসিক রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় সাড়ে সাত শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, জুনে ঈদুল আজহার কারণে কারখানাগুলোতে দীর্ঘ ছুটি ছিল। তা না হলে রপ্তানির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারত। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে রপ্তানি কমেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান আরও জানান, জুনের শেষ দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি ও আন্দোলনের কারণেও রপ্তানি ব্যাহত হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত