ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সরকারের অনুমতি নিয়ে কাঁচা পাট রপ্তানি করতে হবে

সরকারের অনুমতি নিয়ে কাঁচা পাট রপ্তানি করতে হবে

কাঁচা পাট রপ্তানি করতে গেলে এখন থেকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে। বিদ্যমান রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এ শর্ত সাপেক্ষে পণ্য রপ্তানির একটি তালিকা রয়েছে। এই তালিকায় কাঁচা পাট ছিল না এত দিন। রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পরিপত্রে শর্ত যুক্ত পণ্য তালিকার ১৯ নম্বর ক্রমিকে কাঁচা পাটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ২৫ আগস্ট বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের কাছে যৌথভাবে একটি আবেদন করে। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তটি নিয়েছে বলে জানা গেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট রপ্তানি হয়েছে ১০ লাখ বেল।

আবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে পাটের ভরা মৌসুমে প্রতি মণ পাটের দাম ৩ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। অথচ আগের বছরগুলোতে প্রতি মণ পাটের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ টাকা। পাটশিল্পে অন্যতম কাঁচামাল কাঁচা পাট। এই কাঁচা পাটের অভাবে কারখানাগুলো প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পারে না। মাঝখানে সুযোগ নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। পাটশিল্পের স্বার্থে তাই সাময়িকভাবে হলেও কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করা উচিত বলেন মনে করেন বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘পাটশিল্পের জন্য সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক। আমরা অবশ্য কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধই করতে বলেছিলাম। সরকার অনুমতি সাপেক্ষে কাঁচা পাট রপ্তানির সুযোগ রেখেছে।’

বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন ও পাট অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বিদায়ি ২০২৪- ২৫ অর্থবছরে ১২টি দেশে কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, তিউনিশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, আইভরি কোস্ট, যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড। কিন্তু ভারত কাঁচা পাট আমদানি বন্ধ করার পর থেকে ১১টি দেশে পাট রপ্তানি হয়েছে। গত ১১ মাসে দক্ষিণাঞ্চল থেকে বিশ্বের ১১টি দেশে এক হাজার ৯৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার সাত লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৯ বেল পাট রপ্তানি হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত