
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার সবগুলো মূল্যসূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেনে যেকটি সিকিউরিটিজের দর কমেছে, তার চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি সংখ্যকের দর বেড়েছে। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটির সার্বিক লেনদেন আগের দিনের চেয়ে শতকোটি টাকার বেশি বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সূচকটি ৫ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে ছিল।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৯১ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের দিন এই সূচক দুটি যথাক্রমে ১ হাজার ১৫২ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ৭২ পয়েন্টে ছিল।
ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮৯টির। বিপরীতে কমেছে ৬০টির। আর ৪৮টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ডিএসইতে মোট ৫৭৬ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন হয়েছিল ৪৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধনে এক্সচেঞ্জটির শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল বাবদ লেনদেন বেড়েছে ১০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ঢাকার পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়ে লেনদেন তালিকায় শীর্ষে ছিল সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড।
ডিএসইতে সূচক বাড়লে অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল মূল্যসূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এক্সচেঞ্জটির লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ সিকিউরিটিজের দর বাড়লেও কমেছে মোট লেনদেনের পরিমাণ। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই ২ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ২৩ পয়েন্টে নেমেছে।
আর সিএসসিএক্স সূচকটি ১ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে মোট ১৯৮টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টির দর বেড়েছে। কমেছে ৮৩টির। আর ১১টির দর দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল। এক্সচেঞ্জটিতে সার্বিক লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের দিন ১২ কোটি ৭১ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে সিএসইর লেনদেন কমেছে ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।