ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ বিপজ্জনক পণ্যের কনটেইনার ধ্বংস

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ বিপজ্জনক পণ্যের কনটেইনার ধ্বংস

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক পণ্যের কন্টেইনার পরিবেশসম্মতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ধ্বংস করা কন্টেইনারগুলো নিলাম অযোগ্য ও অন্যান্য ধ্বংসযোগ্য পণ্যের অন্তর্ভুক্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কন্টেইনার ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীকে আহ্বায়ক করে একটি আন্তঃসংস্থা কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়কের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের প্রতিনিধিরা ধ্বংসকাজ তদারকি করেন। ধ্বংসকাজ ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ২৬ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার সদস্য ও বন্দর থানার পুলিশ সদস্যগণ ধ্বংসকাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন।

এনবিআর জানায়, ধ্বংস করা পণ্যের মধ্যে ১৬ কন্টেইনার আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, এক কন্টেইনার অরেঞ্জ ইমালসন, এক কন্টেইনার সুইট হুয়ে পাউডার ও এক কন্টেইনার স্কিমড মিল্ক পাউডার ছিল। এগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে থেকে বন্দরের নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করছিল। গত বছরও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও বন্দরের যৌথ উদ্যোগে ১৪ বছর ধরে বন্দরে পড়ে থাকা অতিমাত্রায় দাহ্যবাহী চারটি কন্টেইনারকে নিরাপদে অপসারণ করে ধ্বংস করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে এনবিআর বিশেষ আদেশ জারি করেছে।

দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা প্রায় ৬ হাজার ৬৯টি কন্টেইনার (প্রায় ১০ হাজার টিইইউস)-এর ইনভেন্টরি সম্পন্ন হয়েছে, অর্থাৎ প্রতিটি কন্টেইনারে কী ধরনের পণ্য আছে, তা যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য অংশের নিলামও সম্পন্ন হয়েছে। এনবিআর আশা করছে, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস দ্রুত নিলাম কার্যক্রম শেষ করে বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সহযোগিতায় বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংসের কাজ ভবিষ্যতেও পর্যায়ক্রমে চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত