ঢাকা বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঈদুল আজহায় করণীয়-বর্জনীয়

কোরবানির দিন বছরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে দিবসসমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো কোরবানির দিন। এরপর এর পরের তিন দিন।’ (আবু দাউদ : ১৭৬৫)। এই কোরবানির দিনে কিছু করণীয়-বর্জনীয় রয়েছে। এখানে সেগুলো তুলে ধরা হলো- ফরহাদ বিন মোস্তফা
ঈদুল আজহায় করণীয়-বর্জনীয়

করণীয় কাজ

গোসল করা : ঈদের নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক)

ভালো পোশাক পরা : রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদের দিন ভালো পোশাক পরতেন। হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর লাল ও সবুজ ডোরার একটি চাদর ছিল, তিনি তা দুই ঈদ ও জুমার দিন পরতেন।

সুগন্ধি ব্যবহার : রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদের দিন বিশেষভাবে সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তিনটি পছন্দনীয় জিনিসের মধ্যে একটি সুগন্ধি। (তিরমিজি : ১০৮০)।

ঈদের দিনে খাওয়া : কোরবানির ঈদে নামাজের আগে কোনো কিছু না খাওয়া মুস্তাহাব। নামাজের পরে প্রথমে কোরবানি করা পশুর গোশত খাওয়া সুন্নত। (তিরমিজি : ৫৪৫)

ঈদগাহে যাওয়া : ঈদগাহে একপথ দিয়ে যাওয়া ও অন্যপথ দিয়ে ফেরা সুন্নত। (বোখারি : ৯৮৬)

হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া : সম্ভব হলে ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া সুন্নত। (ইবনে মাজাহ : ১০৭১)

তাকবির পাঠ করা : ঈদের দিন তাকবির পাঠের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালাকে বেশি বেশি স্মরণ করা সুন্নত। পুরুষরা এ তাকবির উঁচু আওয়াজে পাঠ করবে, মেয়েরা নীরবে। এ তাকবির জিলহজ মাসের ৯ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঠ করতে হবে। (ফাতহুল বারি : ২/৫৮৯)

ঈদের নামাজ আদায় : ঈদের দিন ঈদের নামাজ পড়া জরুরি। ঈদের নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এই নামাজ আদায়ে রয়েছে অনেক সওয়াব।

শুভেচ্ছা বিনিময় : ঈদের দিন একে অপরের সঙ্গে দেখা হলে শুভেচ্ছা বাক্য বলা। এরকম বলা যেতে পারে- বাংলা উচ্চারণ : ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।’ বাংলা অর্থ: আল্লাহ কবুল করুন আমাদের এবং আপনার পক্ষ থেকে।’ (বায়হাকি, ৩/৪৪৬)

কোরবানি করা : ঈদুল আজহার দিনে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (সুরা কাউসার : ১-২)

বর্জনীয়

কোরবানির কোনো কিছু বিক্রি করা : কোরবানির গোশত, চামড়া ও এর কোনো অংশ বিক্রি করা যাবে না। (বোখারি : ১৭১৭)

ঈদের দিনে রোজা : ঈদের দিনে রোজা রাখা হারাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)

ঈদের দিনকে কবর জিয়ারতের জন্য নির্দিষ্ট করা : ঈদের দিনকে কবর জিয়ারতের বিশেষ দিন মনে করে জিয়ারত করা ঠিক নয়। (ফিকহুস সুন্নাহ : ১/৬৬৯)। তবে পূর্বনির্ধারিত রুটিন ছাড়া হঠাৎ সুযোগ হয়ে গেলে একাকী কেউ জিয়ারত করলে দোষণীয় নয়।

মুসাফাহা-কোলাকুলি এ দিনে জরুরি মনে করা : ঈদগাহে বা ঈদের দিন সাক্ষাৎ হলে মুসাফাহা ও মুআনাকা (কোলাকুলি) করতেই হবে এমন বিশ্বাস ও আমল করা উচিত নয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত