বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নামে চারটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করিয়ে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় কাবাডির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ইজ্জাপুরেড্ডি প্রাসাদ রাও ওরফে ই প্রাসাদ রাও ওরফে কাবাডি রাও। ফেডারেশনের সাবেক কমিটি দুই, তিনবার ঘোষণা দিয়েও এই প্রাসাদ রাওকে দিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি কাবাডি লিগ আয়োজন করতে পারেনি। অথচ সেই প্রাসাদ রাও শেষ পর্যন্ত নেপালে এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগের আয়োজন করছেন। গত সাত বছরে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের রুপরেখা তৈরি করে এবং মহারাষ্ট্রে কোলাপুরে অবস্থিত নিজের ‘কাবাডি রাও’ একাডেমিতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মাসাধিক আবাসিক ক্যাম্প করিয়ে বাড়তি অর্থ বাগিয়ে নিয়েছেন প্রাসাদ রাও।
শুধু তাই নয়, মেয়েদের আবাসিক ক্যাম্পে নিজের স্ত্রী মাইথেরি রাওকে কোচ বানিয়েও সেখানে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডির চারটি আসরেই টেকিনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসাবে ছিলেন তিনি। সেই সুবাদে ভারতীয় অনেক রেফারিকে ঢাকায় এনে অর্থ আয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন এখানে।
শুধু তাই নয়, টুর্নামেন্টে তার অনৈতিক কিছু সিদ্ধান্তের জন্যও বিদেশে সমালোচিত হয়েছে বাংলাদেশের কাবাডি। অথচ এদেশের কর্মকর্তাদের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনে সহযোগিতা করেননি বলে প্রাসাদ রাওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সেই প্রাসাদ রাও সুযোগ বুঝে নেপাল কাবাডি ফেডারেশনে চলে গেছেন। সুযোগ বুঝে হিমালয় কণ্যার দেশে কাবাডি ফ্রাঞ্চাইজি লিগের আয়োজন করিয়ে নিজের পকেট ভরার নতুন দিগন্ত উম্মোচন করলেন। নেপালের কাবাডি লিগেও তিনি টেকিনিক্যাল ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেপাল কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ কুমার ঝা। এভাবেই অর্থ আয়ের জন্য বিভিন্ন দেশকে কাবাডি খেলাচ্ছেন প্রাসাদ রাও’রা। কিন্তু অর্থ আয় করলেও বিভিন্ন গেমসে ভারতকে টেক্কা দিয়ে স্বর্ণপদক জয় কিংবা টুর্নামেন্টে ভারতকে টেক্কা দেয়ার কোন দীক্ষাই দেন না তারা। ফলে কাবাডি নিযে ভীন দেশ থেকে অর্থ আয় করলেও বিশ্ব আসরে শাসন করে যাচ্ছে ভারতই।