দারুণ এক সম্মাননা পেয়েছেন ইনজামাম-উক-হাক, মিসবাহ-উল-হাক, মুশতাক মোহাম্মাদ ও সাইদ আনোয়ার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ‘হল অব ফেমে’ জায়গা দেয়া হয়েছে দেশটির সাবেক এই চার ক্রিকেটারকে। ২০২১ সালে চালু হওয়া এই হল অব ফেমে এনিয়ে সদস্য সংখ্যা হলো ১৪ জন। হল অব ফেমের বিদ্যমান সদস্য, সাবেক খেলোয়াড় ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে ১১ জনের একটি স্বতন্ত্র প্যানেলের ভোটে এই ক্লাবে জায়গা পান নতুন চারজন। গতকাল শুক্রবার পিসিবি বিবৃতি দিয়ে নতুন সদস্যদের নাম প্রকাশ করে। ইনজামাম, মিসবাহদের অভিনন্দন জানান পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, ‘(হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া) চার তারতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছরের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তখন তাদের স্মারক ক্যাপ এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা ফলক প্রদান করা হবে।’ হল অব ফেমে ইনজামাম, মিসবাহ, মুশতাক এবং আনোয়ার জায়গা পেলেন আবদুল কাদির, এএইচ কারদার, ফজল মাহমুদ, হানিফ মোহাম্মদ, ইমরান খান, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, ইউনিস খান এবং জহির আব্বাসের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের সঙ্গে। ইনজামাম ওয়ানডে সংস্করণে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৭০১ রান সংগ্রহ করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ৮ হাজার ৮২৯ রান সংগ্রহ করেছেন, যে তালিকায় তিনি তৃতীয়। ইনজামাম ২৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, যার মধ্যে ১৭টিতে জয় পায় পাকিস্তান। তার করা ১০টি ওডিআই সেঞ্চুরির ৭টিতে জয় পেয়েছে দল। ১৯৯১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন এবং ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন। অবসরের পর তিনি দুবার পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেন এবং আফগানিস্তানের কোচও ছিলেন।
এদিকে মিসবাহ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০০৯ দলের সদস্য ছিলেন। পাকিস্তান যখন ২০১৬ সালে টেস্ট র?্যাংকিংয়ের ১ নম্বরে ওঠে, সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন মিসবাহ। পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ২০০১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন মিসবাহ। মিসবাহ ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৯-২০২০ সালে প্রধান নির্বাচকও ছিলেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলা চার মোহাম্মদ ভাইয়ের একজন মুশতাক। ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন তিনি। ১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ইংল্যান্ডে ১৯৭৫ সালের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন এবং ১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে জাতীয় দলের কোচিং করিয়েছেন। আনোয়ার ১৯৮৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন। ১৯৯৬, ১৯৯৯ এবং ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি অর্ধশতকসহ মোট ৩১টি সেঞ্চুরি এবং ৬৮টি অর্ধশতক করেছেন এই ওপেনার।