এবারের ফেডারেশন কাপের ফরম্যাটে একটু পরিবর্তন এসেছে। সেমিফাইনালের বদলে হবে কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড। ‘বি’ গ্রুপ থেকে কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল রহমতগঞ্জ ও আবাহনী লিমিটেড। অপেক্ষা ছিল আরো দুই দলের। গতকাল রোববার সেই শূন্যতা পুরণ হল। ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ পর্বের সেরা হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এই জয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ফেডারেশন কাপের এবারের আসরের ফাইনালে ওঠার কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে কিংসের সঙ্গী হয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নও। কপাল পুড়েছে ফর্টিস এফসির। ব্রাদার্সের সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থেকে ছিটকে গেছে তারা। ‘এ’ গ্রুপে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ওয়ান্ডারার্সকে বিধ্বস্ত করেছে বসুন্ধরা কিংস। অন্য ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ব্রাদার্স। ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা কিংস। ফর্টিসের সমান ৭ পয়েন্ট নিয়েও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে গ্রুপের রানার্সআপ হয়েছে ব্রাদার্স। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে ফর্টিস, পুলিশ এফসি ও ওয়ান্ডারার্স। এদের মধ্যে ফর্টিসের হতাশা একটু বেশিই। গ্রুপ পর্বে কিংসকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেরা চমকটি উপহার দিয়েছিল তারাই! শেষ ম্যাচে এসে ওয়ান্ডারার্স চমক দেখানো তো দূর অস্ত, সপ্তদশ মিনিটে তালগোল পাকিয়ে গোল হজম করে তারা। মজিবুর রহমান জনির সঙ্গে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াইয়ে বক্সের মধ্যে তালগোল পাকান ওয়ান্ডারার্সের ডিফেন্ডার। জনি দ্রুত ছোট পাস বাড়িয়ে দেন মিগেল ফিগেইরা দামাশেনোকে, নিখুঁত কোনাকুণি শটে গোল মুখের আগল খুলে দেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কিংসের উৎসবেরও শুরু এখান থেকে। ৪০তম মিনিটে বক্সের ঠিক উপর থেকে বাঁ পায়ের নিচু জোরালো শট নেন সোহেল রানা, ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক সাইফুল ইসলামের গ্লাভস এড়িয়ে পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেয় বল। ব্যবধান দ্বিগুণের স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় কিংস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরো কোণঠাসা হয়ে পড়ে ওয়ান্ডারার্স। দুরূহ কোণ থেকে এই ব্রাজিলিয়ান কাছের পোস্টে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু ওয়ান্ডারার্সের রাসেলের মাথায় লেগে দিক পাল্টে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে জালে জড়ায়। ৭০তম মিনিটে জুনিয়র সোহেল রানার গোলে ব্যবধান বাড়ে আরো। সাত মিনিট পর কিংসের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় অনেকটাই। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের পাস জোনাথন ফের্নান্দেসের ব্যকহিলে বলে পেয়ে যান দামাশেনো, তার আড়াআড়ি ক্রস থেকে পাওয়া বল অনায়াসে জালে জড়িয়ে দেন দূরের পোস্টে অরক্ষিত থাকা তপু বর্মন।