চলমান জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ৩২ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙ্গলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাজমুল হোসেন রনি। গতকাল মঙ্গলবার পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে ৫০.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১৯৯৩ সালের রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি। ৩২ বছর আগে ৫১.৮৭ সেকেন্ডে ওই রেকর্ড গড়েছিলেন নৌবাহিনীর আবদুর রহিম।
রেকর্ডের খবর শুনেই বেশ উৎফুল্ল নাজমুল। তার কথা, ‘আমার কোচ এবং সহপাঠিরা প্রায় তিন যুগ আগের ওই রেকর্ডটি আমার দ্বারাই ভাঙা সম্ভব। অবশেষে সেটি করতে পেরে আলহামদুল্লিাহ।’ অ্যাথলেটিকসে আসার পেছনের গল্প বলেছেন বগুড়া থেকে উঠে আসা নাজমুল, ‘আর্মিতে আসার পরই আমি অ্যাথলেটিক্সে আসি। ওখানে আন্তঃপ্রতিযোগিতা হয়। সেখানই প্রথম অ্যাথলেটিকসের সঙ্গে যোগসূত্র। পরবর্তিতে সেনাবাহিনীর প্রধান দলে চলে আসি। এর পরের গল্পটা শুধুই সাফল্যের।’ ভবিষ্যৎ নিয়ে নাজমুল, ‘অ্যাথলেটিকস নিয়ে আমার পরিকল্পনা সাফ গেমসে ভালো ফলাফল অর্জন করা। যে টাইমিং করেছি আরেকটু চেষ্টা করলে হয়ত সেখানে পদক জিততে পারব। তবে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আরেকটু সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এদিকে মেয়েদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে নতুন রেকর্ডের রানী হয়েছেন সেনাবাহিনীর বর্ষা খাতুন। এক মিনিট ০৪.৬১ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। এর আগে ২০২২ সালে এক মিনিট ০৪.৭০ সেকেন্ডে রেকর্ডের মালকিন ছিলেন একই দলের লিবিয়া খাতুন। রেকর্ড গড়ে বর্ষা খাতুনের কথা, ‘১২ বছর ধরে খেলছি। এখন ২৪ বছর বয়স।
প্রথমবার কোন রেকর্ডের মালিক হলাম।’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ২০১৫ সাল থেকে কর্পোরালে আছেন বর্ষা। তার লক্ষ্য এসএ গেমসে পদক জেতা, ‘এখন যে রিদমে রয়েছি, আশা করি এসএ গেমসের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদক জিততে পারব।’
অ্যাথলেটিকসে আসার পেছনের গল্প জানালেন বর্ষা, ‘আমি জেলা পর্যায়ে খেলেছি, এর পর বিজেএমসির কোচ আমির আলীর স্যার আমার খেলা দেখেন। ওখান থেকে উনি আমাকে চট্টগ্রাম বিজেএমসিতে নিয়ে যায়। সেখানে আমি দুই বছর অনুশীলন করি। ভালো রেজাল্ট করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে নেয় আমাকে। এর পর তো সেনাবাহিনীর হয়ে খেলছি ১২ বছর ধরে।’