রক্ষণে নেই মাসুরা পারভীন, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার সিনিয়র। মাঝমাঠে নেই মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দার দুর্দান্ত জুটি। আক্রমণেও অভিজ্ঞ সাবিনা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র বা কৃষ্ণা রানী সরকারের কেউ নেই। বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলারকে বাদ দিয়ে নতুন এক বাংলাদেশকে নিয়ে আরব আমিরাতে গেছেন কোচ পিটার বাটলার। স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে স্বাগতিক সংযুক্ত আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামে আফঈদা খন্দকারের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৬ ধাপ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ অনুমিতভাবেই হেরেছে। যেখানে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১৩২, আমিরাতের ১১৬। শক্তিশালী সেই আমিরাতের মেয়েরা বাংলাদেশকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে। পেনাল্টি থেকে বাংলাদেশের একমাত্র গোলটি করেছেন আফঈদা। টানা দুটি সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ ১৮ জন ফুটবলার নেই এবারের দলে।
সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মনিকা চাকমাসহ বিদ্রোহী নারী ফুটবলারদের সবাই ছুটি নিয়ে ক্যাম্প ছেড়েছেন। সর্বশেষ সাফের দল থেকে ৮ জন আছেন ২৩ সদস্যের নতুন দলে। এই ৮ জনের মধ্যে সাফের একাদশে খেলেছেন শুধুই নতুন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। বাকি ১৫ জনই অনূর্ধ্ব-২০ দলের। যাদের মধ্যে ৯ ফুটবলার একেবারে নতুন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রায় চার মাস পর এদিন প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে নামে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে নতুন ও অনভিজ্ঞ ফুটবলারদের নিয়ে যে খুব বেশি লড়াই করা যাবে না সেটা জানতেন কোচ বাটলারও। কিন্তু অভিজ্ঞ মারিয়া মান্দা, ঋতুপর্ণা চাকমারা দলে থাকলে হয়তো চোখে চোখ রেখে লড়তে পারতো। যে লড়াইটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। কোহাতি কিসকু, আফঈদা খন্দকার, সুরমা আক্তারদের ডিফেন্স লাইন বেশ কয়েকবার পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন। আমিরাতের প্রচণ্ড শীতেও মেয়েরা যে খুব বেশি স্বাভাবিক ছন্দে খেলেছেন সেটা বলা যাবে না। মাঝমাঠ থেকে তনিমা বিশ্বাস, আইরিন খাতুন, স্বপ্না রানী, সুরভী আকন্দ প্রীতিরা খুব বেশি বলের জোগান দিতে পারেনি ফরোয়ার্ডদের কাছে। এরপরও দুয়েকটি সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি শাহেদা আক্তার রিপারা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠা আমিরাত প্রথম গোলটি পেয়েছে ১৮ মিনিটে।
ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা আমিরাতের এক সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে প্লেসিংয়ে ১-০ করেন এলিজাবেথ। ২৮ মিনিটে জর্জিয়া ইয়ারজান বেগমের মাথার ওপর দিয়ে বল জড়ান জালে। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ২-১ করেন আফঈদা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক খেলা আমিরাত তৃতীয় গোলটি পেয়েছে ৭৩ মিনিটে। বাকি সময়ে কোনো দলই আর গোল করতে পারেনি। বাংলাদেশের পরের ম্যাচটি ২ মার্চ। প্রতিপক্ষ এই আরব আমিরাত। যদিও ফিফা ক্যালেন্ডারের বাইরে হওয়ায় ম্যাচটি শুধু প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে গণ্য হবে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের জন্য কোনো কাজে আসবে না ম্যাচটি।